“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

বাঁচার লড়াই


            
        




     ।। সিক্তা বিশ্বাস ।।
             
জও অগ্রগতির খেতাব পড়ে
 
আলো-আঁধারের লীলা চোখে ধরে !!!
ভাবুকমন ভাবনায় ডুবে ঘোরে ......
****************************
ঝোঁক আমার ঐ পাশের ঘরে
 
ওখানে টুনিমাসি থাকে চুপটি করে
পাছে কা
রো  অসুবিধে হয়
নিজের সখ-আহ্লাদকে তাই করেছে জয়

সকাল থেকে গভীর রাত অবধি কেবল কাজের ধুম !
শরীরও যে চায় বিশ্রাম ,ভুলে বসে কর্মরত অবিরাম !
ভাবি,অতো রাতে কুপী জ্বেলে মাসি করে
কী !!
উঁকিমেরে প্রায়ই দেখি ঠোঙা হাতে পড়ছে যেন
কী !!
ভাবি আমি মনে মনে ,মাসিতো জানি নিরক্ষর
 
তাহলে ঠোঙ্গা হাতে মাসি কীসে তৎপর !!
আঁধারে আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ে প্রশ্ন করি
 
যদি কোন রকমে নিশানায়
  লক্ষ্যভেদ করি !!
বলি মাসি ,তুমি কেন ঠোঙ্গা পড়ো !!?
বলে,একটু পড়ার ও জানার সখ যে বড় !!
বললাম,কত শত পত্রিকা ও বই রয়েছে ঘরে
 
ওগুলো এনে পড়তে পারতো মনে করে l
বললে মাসি ,দোঁহাই আমার চুপটি থেকো !!
বড় কত্তা জানলে !!
  ওরে বাবা !!
আর কাজটি থাকবে নাকো !
কীই বা আমার বিদ্যের বহর !
কাজ না থাকলে অভুক্ত হয়ে কাটবে যে প্রহর !
শুনে অবাক আমি !আজও চলে নাকি
কাজের লোকের অবিদ্যার হুকুমজারি !!
সেই কর্তাগিরির জবরদারি !!!
হ্যাম
  সে বড়া কোউন হ্যায় এর বাহাদুরি !!
আর কত কী যে দেখবো এই সমাজ সংসারে !
লুকিয়ে শিক্ষা ও সখ !
কত যে বাঁচে আধপেটা ,অনাহারে !
মনের খোরাক মনই জানে
 
সুখের খুঁজেই ভাসে বানে !
আত্মতুষ্টির আপন টানে !!
দর্পণে কী রত্ন আছে অন্ধ কী জানে !!!???
        ***************
*ঝোড়োমেঘ*


কোন মন্তব্য নেই: