“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮

শকুন

।। সুপ্রদীপ দত্তরায় ।।
(C)Image:ছবি









প্রায়শই লোকেদের বলতে শুনেছি  
শকুনের শাপে নাকি গরু মরে না 
অদ্ভুত কথা ।বেচারা নিরীহ প্রাণী 
সাতে নেই পাঁচে নেই, ক্ষতি কারো করে না 
যা খায় সব মরা বাসি পচা 
পৃথিবীর বুকে যত পচা গলা দেহ
নিঃশব্দে সাফাই করে নেই সন্দেহ 
তাতেও রক্ষা নেই কত কি কথা।
কাকে নাকি শাপ দেয়, 
কার যেন করে সে মৃত্যু কামনা । 
অযথা কুৎসা শুধু, মিথ্যে রটনা ।
আমি শুধু ভাবি বসে, যদি তাই হতো
শকুনের শাপে যদি গরু মরে যেত
আমি তো প্রথম ব্যক্তি বর্তে যেতাম 
জন্মে জন্মে আমি  শকুন হতাম।
এই যে আমার বস, মাক্ষিচোষ
সারাদিন ক্রমাগত ফোঁস আর ফোঁস ।
অফিসের পয়সা লুটেপুটে খায় আর 
অযথা হয়রানি করে, শুধু গর্জায়।
শকুন হয়েই আমি শাপ শাপান্ত দিয়ে 
নিমেষে পথের পাশে মৃত্যু দিতাম, 
তারপর পিঠে বসে ,একে একে ঠোঁট দিয়ে 
হাড্ডি গুলো তার চুষে চুষে খেতাম ।
এই যারা দেশটাকে লুটেপুটে খায়
গরীবের ভাগ্যতে সাট্টা খেলায় 
কলে আর কারখানায় তালা দেয় যারা 
খাদ্যতে বিষ দিয়ে সিন্দুক ভরা 
এজলাসে বসে যারা ঘুষ খেতে চায়
স্পীডমানি ফাইল ঠেলে যে অফিস পাড়ায়, 
দাঁড়ি আর পৈতাতে লড়িয়ে দিয়ে 
ঠাণ্ডা ঘরেতে যারা হাড্ডি চাবায়, 
আমি শুধু দুর থেকে নজর নিতাম ।
সীমার বাইরে গেলে উড়ে এসে জুড়ে বসে
শাপ শাপান্ত দিয়ে অপঘাতে মৃত্যু দিতাম ।
ততদিনে সবারই হয়ে যেতো জানা 
শকুনের শাপেতেই গরুগুলো মরা।
আমাকে দেখেই ওরা সাবধান হতো।
হয়তো তখন আবার ---,হয়তো----।


কোন মন্তব্য নেই: