“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮

নবজাতককে চিঠি

       ।।  রফিক উদ্দিন লস্কর ।।














লো!, কেমনে করি আজ তোমায় বরণ
বিষাক্ত যে এই পৃথিবীর আলো বাতাস
পাপের গন্ধ,যেখানে দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ।
কী করে শেখাই বলো সভ্যতা তোমাকে 
উলঙ্গ হয়ে চেয়ে আছে আস্ত শহরখানা
অসভ্য কূটচালেরা চাদর বিছিয়ে রাখে।
ওরা নিজ হাতে দেশের কলকাঠি নাড়ায়
ছেয়ে গেছে ধরিত্রী কু-শিক্ষার আঁধারে
বলো! কি করে সু-শিক্ষা দেবো তোমায়?
মস্ত আড্ডা জমে মূর্খ লোকের সমাগমে
সু-শিক্ষিতরা বিতাড়িত, ঠেলে দেয় দূরে
কলুষিত মন, অনিশ্চয়তা বাড়ছে ক্রমে।
হে আমার আগন্তুক দিনের নবজাতক...
তুমি এসো
না এই পৃথিবীতে ক্রান্তিকালে
মুক্ত শ্বাস নিতে দেবেনা চারদিকে ঘাতক।
হে নবজাতক! তোমাকে এই খোলা পত্র
তুমি ক্ষমা করো, সাহস নেই যে আমার
ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে এই পৃথিবীর যত্র তত্র।


কোন মন্তব্য নেই: