“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

ঘরের দিকে ফিরে তাকাইনি একবারও

 ।। মোহাজির হুশেইন চৌধুরী ।।


বাড়ির বাঁ পাশের কোণায় ঘরটি দাঁড়িয়ে আছে
তিনতলা।
নতুন পলেস্তারায় রাজমিস্ত্রির গন্ধ
এখনও লেগে আছে
যে আসে ঘুরে ঘুরে দেখে
 সে-ই বেশ তারিফ করে
বিশেষ করে প্রকৌশলগত চারুকলার
এবং আমার বিশাল খরচের বহর
 
আমি একদিনও ফিরে তাকাইনি ঘরটির দিকে
কারণ আমি জানি এ ঘরটি আমার নয়
 
সুরম্য একটি কোঠা অবশ্য আমার জন্য বরাদ্দ আছে।
কাঁচের জানলা সোনালী হাতল কারুকাজ করা দরজা
ভীষণ আকর্ষণ করা এ সি ব্লগ
মেহগনি কাঠের সুদৃশ্য পালঙ্ক
 
প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করি
দেয়ালের আয়নায় নিজের মুখ দেখি
এক বেদুইন মুসাফির দাঁড়িয়ে থাকে
প্রতিদিন কপট আয়নায়
প্রতিবিম্ব আমাকে একটা মাটির ঘরের দিকে
টেনে টেনে নিয়ে যায়
উপরে বাঁশের ছাদ মাটির দেয়াল
চারপাশে ছড়ানো ছিটানো কিছু কংকাল
 
 
 
 
 
 


কোন মন্তব্য নেই: