![]() |
(দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত) |
আমাদের দেশের অনেক সংস্থার মত, বিদেশের একটি অগ্রণী দাতব্য সংস্থা হচ্ছে, খ্রিশ্চিয়ান এইড মিশন। এই সংস্থা কর্তৃক
প্রকাশিত, তাদের নেটওয়ার্ক নিউজের, এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, মাত্র ৫০ বছরের মধ্যেই কোলকাতা, মুম্বাই ও ঢাকা শহরত্রয় সহ, অনেক শহরই জলের নিচে চলে যেতে পারে। এক কথায়, ২০৬০ সাল নাগাদ ঢাকা, কলকাতা, মুম্বাইসহ এশিয়া-আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহর
বন্যার তলিয়ে যেতে পারে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গিয়ে অনেক দেশের উপকূলীয়
এলাকাগুলোও ডুবে যাবে বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের
পরই এই ঝুঁকিতে রয়েছে, চীনের গুয়াংজু ও সাংহাই প্রদেশ। ভিয়েতনামের হো-চি-মিন সিটি, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ও মায়ানমারের ইয়াংগুনেরও একই পরিস্থিতি হতে পারে।
খ্রিশ্চিয়ান এইডের এই ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হলে, অন্তত একশ কোটি মানুষ যে বিপদের সম্মুখীন হবে, তা নিশ্চিত করেই বলা
যায়।
এই দাতব্য সংস্থাটি জানাচ্ছে, সামনে ভয়াবহ এক দুর্যোগ অপেক্ষা করছে সকলের জন্যে। যেসব দেশে দারিদ্রের হার বেশি সেইসব দেশে ক্ষতির পরিমাণও বেশি হবে বলেই ধারণা
করছে খ্রিশ্চিয়ান এইড সংস্থাটি। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝুঁকিমুক্ত নয় ধনী রাষ্ট্রগুলোও। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ লাখ মানুষের শহর মিয়ামি, ইউরোপের আমস্টারডাম,
আমস্টারডামের মতো শহরও তলিয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বিপজ্জনক
পরিস্থিতিতে পড়তে হবে ইতালির ভেনিস, যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরকে। এমনিতেই বৃষ্টিবহুল লন্ডনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সেকেলে, তার ওপর টেমস নদীর
জোয়ার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারে পরিণত হয়ে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের
বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তবে পূর্ব সতর্কতার মাধ্যমে এই বিপুল আর্থিক-মানবিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব
বলে মনে করে খ্রিশ্চিয়ান এইড। এক্ষেত্রে দুর্যোগ মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করেছে এই দাতব্য সংস্থাটি। এজন্য সংস্থাটির
পক্ষে থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ১০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গড়ে তোলার আহ্বান
জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ গুরুত্ব এবং সর্বাধিক আন্তরিকতা দিয়ে সম্প্রতি
সাক্ষরিত জলবায়ু পরিবর্তন রোধের ‘প্যারিস চুক্তি’ বাস্তবায়িত করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
গত এক বছর ধরে দুনিয়াব্যাপী
বেশ কয়েকটি দেশে আকস্মিক বন্যার ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে ওই সমস্ত দেশগুলো অপরিসীম
ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে ভারত ছাড়া রয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, চিন, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ভারত বাংলাদেশ ছাড়া এসব দেশ
বন্যা প্রবণ নয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে তারা অনেক উন্নত। কিন্তু বিস্ময়কর
ব্যাপার হলো এসব স্বত্বেও, বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবেলা করতে তারা সক্ষম হয়নি বরং ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির
শিকার হয়েছে। তাহলে দুইটি বিষয় এখানে লক্ষণীয়, আর তা হলো বন্যা প্রবণ নয় এমন দেশেও বন্যা হচ্ছে এবং তারা এটা মোকাবেলা করতে ব্যর্থতার
পরিচয় দিচ্ছে।
গঙ্গা, যমুনা, সিন্ধু ভারতবর্ষের প্রধান নদী গুলোর মধ্যে অন্যতম
। হাজার বছর ধরে এই নদীগুলোর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে ভারতীয় সভ্যতা। নদীগুলোর জোয়ার
ভাটার সঙ্গে আবর্তিত হয়েছে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবন। এর উপরেই নির্ভরশীল ছিল
হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকা। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে এই সব নদীর দুই কূল ছাপিয়ে যেমন বন্যা
এসেছে, তেমনি চলেও গেছে প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে। বন্যায় ফসলের জমি পলি মাটিতে উর্বর
হয়েছে, কৃষকের গোলা ফসলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সে সময়
বন্যা ছিল কৃষকের কাছে আশীর্বাদ।
কিন্তু সময়ের আবর্তে বন্যা হয়ে উঠেছে নিম্নাঞ্চলের নদী অববাহিকা অঞ্চলের ও
শহরের মানুষের কাছে অভিশাপ। নিয়মিত বন্যার পরিবর্তে তারা ইতিমধ্যেই মুখোমুখি হচ্ছে
এক অস্বাভাবিক আকস্মিক বন্যার, যার মূল কারণ ওয়াটার লগিং। এই বন্যা সম্পূর্ণভাবে মনুষ্য সৃষ্ট। উন্নয়নের নামে প্রাকৃতিক নিয়মের ওপর
মানুষের ক্রমাগত দায়িত্বহীন হস্তক্ষেপের কারণে, এই মহাদুর্যোগের সূচনা। প্রকৃতির ক্ষয় ক্ষতির বিষয়টি চিন্তা
না করে, বা জলের গতি স্বাভাবিক রাখার উপযুক্ত ব্যবস্থা না করেই, ঢালাও হারে উন্নয়নের
নামে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। একটি ক্লাস সিক্সের ছাত্রও জানে জলের সমোচ্চশীলতা বলতে
কী বোঝায়।
সম্প্রতি ভারতের উড়িষ্যা এবং পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত
হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর কারণে, কয়েকদিন ধরে ভারি বর্ষণে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্ষা মৌসুমের
প্রায় শেষের দিকে এই ধরনের বন্যা একেবারেই আকস্মিক। কোনো রকম পূর্বাভাসের
আগেই এই বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে দুই নদীর অববাহিকায় বসবাসরত লক্ষ লক্ষ মানুষ।
বন্যার কারণ হিসেবে জানা গেছে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দুই দেশের আকাশে ভারি
মেঘমালার সৃষ্টি হয়। এটা একটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা, সাধারণত ভারি মেঘমালা এ সময় সৃষ্টি হয়না, এটা মৌসুমি বায়ু প্রবাহের খেয়ালী আচরণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বব্যাপী
জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন এর জন্য দায়ী বলে তারা জানিয়েছেন।
তারা আরো জানিয়েছেন, তীব্র বৃষ্টি হলেও বন্যার সম্ভাবনা কম থাকে যদি
জল নিষ্কাশনের যথেষ্ট ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে নদীর জল প্রবাহে বাধা
সৃষ্টির কারণে জল আটকে বন্যার মতো বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে।
এদিকে ১৯৭৮ বন্যায় কোলকাতা এবং ১৯৭৭ ও ১৯৭৮ সালের বন্যায় দিল্লি শহর ডুবে
গিয়েছিল বন্যায়। জাতীয় বন্যা কমিশন তথা National Flood Commission-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৭০ সাল থেকেই বন্যার প্রবণতা বাড়ছে দেশব্যাপী।
পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, তাই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে। পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের ঋতু বৈচিত্র্য
এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র খরা, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাধারণ ঘটনা। আপাত দৃষ্টিতে এটা
প্রাকৃতিক ঘটনা বলে মনে হলেও, আসলে এর পেছনে রয়েছে মানুষ্য সৃষ্ট কারণ। এখন প্রত্যেক সচেতন মানুষ মাত্রই
জানেন জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য মানুষই দায়ী। অতি মুনাফার লোভে মানুষ প্রতিনিয়তই
প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি সাধন করছে। শিল্প কল কারখানার ধোয়া, বৃক্ষ নিধনসহ আরো অসংখ্য কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে। যার
ফলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একারণে পৃথিবীব্যাপী ঋতু বৈচিত্র্যের
পরিবর্তন হচ্ছে এবং তাদের স্থানীয় প্রাকৃতিক পরিবেশে এমন সব ঘটনা ঘটছে যা
প্রত্যাশিত নয়।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে পরিবেশের ক্ষয় ক্ষতির বিচার বিবেচনা না করেই
অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন তৎপরতা চালানো। যেমন খাল বিল পুকুর জলাশয় ভরাট করে আবাসন
প্রকল্প, শিল্প কল কারখানা, ফসলী জমি তৈরি করা বা বিভিন্নভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। নদীতে বাধ দিয়ে জল
প্রবাহের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা ঘাট ব্রিজ
কালভার্ট নির্মাণ করার ফলে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে বৃষ্টি হলে অতিরিক্ত জল
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অপসারিত হতে পারে না। ফলে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা এবং বন্যা।
মানুষজনের মধ্যেও এ সম্পর্কিত জ্ঞানের কোন বিকাশ ঘটেনি। গত বছর সৌদি আরবে অতি
বৃষ্টির কারণে বন্যার সৃষ্টি হয়। কারণে খুঁজতে গেলে দেখা যায় অতিরিক্ত জল বের হয়ে
যাওয়ার জন্য তারা কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলেনি। তাহলে দেখা যাচ্ছে বন্যার
কারণগুলো সবই মানুষের সৃষ্ট কারণ।
কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। খাল বিল পুকুর ডোবা নালা এমনকি নদী পর্যন্ত
ভরাট করে নগরায়ণ ঘটানো হচ্ছে । গড়ে তোলা হচ্ছে রাস্তা বাধ ব্রিজ কালভার্ট।
অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য জলের স্বাভাবিক গতিপথ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যার ফলে
বৃষ্টির জল আটকে সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক বন্যার। এখন বন্যা হলে জলের অপসারণ একটি
সমস্যা হয়ে দেখা দেয়।
এবার আসা যাক, আগরতলা শহরের কথায়। আগরতলা শহরের কেন্দ্রস্থলটা ঠিক একটা গামলার মতো। তবে কেউ
যদি মনে করেন, এটাই আগরতলা শহরের সমগ্র অঞ্চল, তাহলে তা হবে হঠকারিতা। এটা সাবেক আগরতলা শহর। ইতিমধ্যেই এই শহর অনেক বিস্তৃত
হয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণে ও পুব দিকে। বলদাখাল সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকাও এখন শহরের
মধ্যেই পড়ে। অথচ সাম্প্রতিক দুই দফা বন্যার সময়ে ফেইসবুকের দেয়ালে দেয়ালে ঐ
গামলাটাকেই আগরতলা শহর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন শহরের ইঞ্জিনিয়ার সহ বুদ্ধিজীবীরা
সকলেই।
যাইহোক, সব মিলিয়ে, উপরে উল্লেখিত পরিস্থিতিটা কিন্তু এখানেও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এর পেছনের
কারণগুলো বিচার বিশ্লেষণ করলে যে মোদ্দা কথাটা বেড়িয়ে আসে, তা হচ্ছে, প্রকৃতির উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ।
মূল কারণ কিন্তু শুধু মাত্র আগরতলা নামক সাবেক বা সাম্প্রতিক শহরেই সীমাবদ্ধ নয়। সম্প্রতি
ঘটে যাওয়া দুই দুইটি মারাত্মক বন্যা আর নিত্যনৈমিত্তিক বন্যার মধ্যেও কোনো মৌলিক
তফাৎ নেই। ড্রেন পরিষ্কার রেখে বা পুকুর সংরক্ষণ করেও, এর থেকে পরিত্রাণের পথ
সুদূরপরাহত।
সুদীর্ঘ কাল আমরা অযাচিত ভাবে হাওড়া নদীর উৎস থেকে শুরু করে শহরের পার্শ্ববর্তী
সমগ্র অঞ্চলকেই নির্মমভাবে আঘাত করে চলেছি। এসব সবাই বুঝেও বুঝি না। এই বিষয়ের
মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো ভূমি ক্ষয়ের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করা। হাওড়া নদীর
সমস্ত ছোট বড় ছড়া তথা স্রোতস্বিনীগুলোর পাড়ে পাড়ে নিদারুণ ভূমিক্ষয়ের ফলে, বয়ে আসা মাটি জলে মিশে
কোথায় যায় ? ত্রিপুরায় রাবার চাষ এই ধরণের একটি উৎপাত। হাওড়া নদীর জলের রঙ স্বচ্ছ নয় কেনো ? এসব কথা একটা বাচ্চাও
বোঝে, কিন্তু বোঝে না ইঞ্জিনিয়াররা, আর পলিসি মেকার নেতারা আর আমলারা। এখন সবাই ঐ ছোট্ট গামলা সুরক্ষিত রাখতে
উঠেপড়ে লেগেছেন। এসব হচ্ছে উদ্ভট আর লোক দেখানো কাজ। জলের সমোচ্চশীলতা ধর্মের
জন্যই এই গামলা কোনোদিনই বন্যা এবং শহরের লাগোয়া পশ্চিমে অবস্থিত বাংলাদেশের আখাউড়া অঞ্চলের বিস্তৃত ওয়াটার লগিং (Waterlogging) থেকে মুক্তি পাবে না। একথা হলফ করেই বলা যায়।
কদিন আগেই এক মন্ত্রী স্বীকার করেছেন, এই গামলায় নাকি বাংলাদেশের জল বিপরীতমুখী হয়ে ঢুকেছে। এটা জলের সমোচ্চশীলতা
ধর্মের জন্যেই হবে। এবং এই সূত্র থেকেই বলা যায়, আগরতলার বন্যা শুধু আগরতলা বা ত্রিপুরা বা ভারতের একার
সমস্যা নয়, এটা একটা আন্তর্জাতিক একটা সমস্যা। আরো বলা যায়, আগরতলার এই গামলাটা একদিন না একদিন হরপ্পা মহেঞ্জোদারোর মতই
পরিত্যক্ত শহর হিসেবে চিহ্নিত হবে। এই গামলার ভিতরের বড়লোকেরা টিলা অঞ্চলে তাদের
বাসস্থানের বিকেন্দ্রীভবন ঘটাতে বাধ্য হবে। তাদের সাথে গরীবরাও রোজগারের স্বার্থে, নূতন এলাকায় বসতি
স্থাপন করবে। এমতাবস্থায়, নিয়তির হাতে আত্মসমর্পণ করে নিশ্চল
বসে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।
তামিলনাড়ুর কাড্ডাপা জেলার পুরুমামিল্লার সন্নিকটে প্রাপ্ত, ১৩৬৯ সালে উৎকীর্ণ
শিলালিপিতে কিছু নির্দেশিকার মধ্যে লেখা রয়েছে, “দেশে জল বিদ্যায় অভিজ্ঞ ব্যক্তি থাকা দরকার”। কিন্তু আমাদের রাজ্যে
এমন মানুষ আছে কিনা জানা নেই।
(সূত্র: ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট ও কিছু পুস্তক)
1 টি মন্তব্য:
https://youtu.be/xgIJ4vvtvTk?si=MfrTJmYZUOGEy_cF
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন