।। পার্থ প্রতিম আচার্য।।
এ শিরোনাম কেন ? প্রশ্ন উঠাটা অসমীচীন নয়। শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিয়ে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক আর এন সি টি ই এর নাটুকেপনা দেখেই আমার কলম ধরা।এ কি রে বাবা? শিক্ষক সমাজকে এইভাবে অপমান?আজ একরকম কাল একরকম- পরশু আবার কি ফরমান আসে?নিরীহ প্রজাতি পেয়েছেন?মাথা খারাপ হবে না তো কি?
এ শিরোনাম কেন ? প্রশ্ন উঠাটা অসমীচীন নয়। শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিয়ে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক আর এন সি টি ই এর নাটুকেপনা দেখেই আমার কলম ধরা।এ কি রে বাবা? শিক্ষক সমাজকে এইভাবে অপমান?আজ একরকম কাল একরকম- পরশু আবার কি ফরমান আসে?নিরীহ প্রজাতি পেয়েছেন?মাথা খারাপ হবে না তো কি?
প্রথম নির্দেশ প্রশিক্ষণহীন
সব এলিমেন্টারি শিক্ষকদের নিওস নামে একটি সংস্থার থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে- উচ্চ
মাধ্যমিকে ৫০% নম্বর না থাকলে সে জন্যেও পরীক্ষায় বসতে হবে ঐ নিওস থেকেই। বেচারা
শিক্ষকদের অবস্থা প্রায় পাগল পাগল।এই বুঝি চাকরি খেয়ে নেয়।ত্রিপুরা থেকে বক্তব্য
গেলো- এন সি টি ই তো এই ক্ষমতাই পেয়েছে ২০০১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর এর পর তাহলে তার
আগের শিক্ষকদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার তাদের কে দিলো?
স্পষ্টীকরণ আসতে
আসতে চলে গেলো বেশ ক‘টা দিন । ইতিমধ্যে নগদ ৪৫০০ টাকার বিনিময়ে
অনেক ভীত শিক্ষকরাই
(চাকরী যদিও ২০০১ এর আগেই) অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েছেন – স্ফীত
হয়েছে এন আই ও এস আর অবশ্যই যাদের বরাত দেয়া হয়েছে এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি
চালানোর তাদের আয়।
এবার এলো
স্পষ্টীকরণ। ২০০১ এর ৩রা সেপ্টেম্বর এর আগের শিক্ষকদের প্রয়োজন নেই এসবের।
এ রাজ্যে না হয় এই
সংখ্যাটা বেশী নয় কিন্তু সারা ভারতে? বিশাল।এই বিশাল শিক্ষকদের
বাধ্য করা হচ্ছে এন আই ও এস থেকে
একই সঙ্গে ডি এল ই ডি ( যার জন্যে
বছরে দিতে হবে ৪৫০০ টাকা)ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল উন্নীতকরনের ( যার জন্যে দিতে হবে
প্রায় ১৭০০ টাকা) পরীক্ষায় বসতে। কেন? গুনগত শিক্ষার লক্ষ্যে।
তাই যদি হয় তবে কিছু
প্রশ্ন মাথায় এসে যায়।
প্রথমত: এতে একটা
নিহিত বক্তব্য আছে। এতদিন যে শিক্ষকরা কাজ করছিলেন
তারা গুনগত শিক্ষাদানে উপযুক্ত নন। নিওসে’র জাদুকাঠির স্পর্শে তারা উপযুক্ত হয়ে উঠবেন।
কিছু নগদ রাশির পরিবর্তে।কেন বললাম? কিভাবে হবে এই শিক্ষাদান?
ম্যাটেরিয়ালস আপলোড করা হবে তাদের সাইটে । সেগুলো পড়ে পড়ে শিক্ষকরা
পরীক্ষা দেবেন – হয়ে উঠবেন গুণমান সম্পন্ন শিক্ষক। ও হরি ! যাদের নিওস সম্পর্কে ন্যূনতম ধারনা আছে
তাদের হাতেই ছাড়লাম। আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবো না।
কিন্তু একটা বিষয় না
বলে পারছি না। আজই দুজন শিক্ষক এলেন। ওনারা দুজনেই মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে
উত্তীর্ণ , কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০% থেকে কিছু কম। সুতরাং নিওসে
পরীক্ষা দেবেন।
প্রশ্ন হোল ভারতে
পারসেন্টাইল নামে একটা ব্যবস্থা এই সেদিনও চালু ছিল। নীট কিংবা জেইই পরীক্ষায় সি
বি এস ই তে যারা ৮০% পেতো আর ত্রিপুরাতে যারা ৬০% পেতো তাদের সমপর্যায়ে ধরা হতো
।শুধু ত্রিপুরা নয় ভারতের বহু বোর্ডের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য । এ কথা মানব
সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের না জানার বিষয় নয়। তাহলে এটি বিবেচনায় এলো না কেন? তবে
কি ধরে নিতে হবে অন্তর্জলী যাত্রার পথে চলা সংস্থাকে রক্ত সরবরাহে বাধ্য করা হচ্ছে
শিক্ষকদের ? আর নেপথ্যে টাকা লুটছে বরাত পাওয়া এজেন্সি?
আরও আছে সেটা ক্রমশ
প্রকাশ্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন