“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আমি এখন


।। পার্থপ্রতীম আচার্য।।









ফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দাও মাধবীলতা
তোমার বাক রোধ হয়ে যাওয়া মানে বোঝো তুমি?
দেয়ালে বর্ষায় ভিজে যাওয়া হৃদয় আমার
দাগ জমে আছে বর্ণালি শ্যাওলার
কথা, হাসি, অতি বলা নিশ্চুপ চোখ
সব মাইরি কেমন ধোঁয়াশা এখানে
কথা বল, না হয় দুয়ার খুলে জাহান্নামে ঢুকিয়ে দাও আমায়
সান্ধ্যভাষা আসেনা আমার
একেবারে বালখিল্য
কয়েক লাইন
তবু কুলাঝাড়া শব্দ এগুলো
রুপালি গলার চেন ছিঁড়ে ফেলা
ছিঁড়ে ফেলা আবরণ পেলবতা-
কথা বলো কিছু কথা
যেখানে বাঙ্ময় তোমার
অন্তরে লীনা কোন
গোলাপি
ভাবনা ।।
একবার শুনে চোখের উপর পড়ুক ঝরে
দুটো খস খসে পাতা

আর যদি থাকো পাশে
বোকা বুড়োর মতো
দুহাতে সরাবো পাথর
জেনে রেখো মাধবীলতা ।।


কোন মন্তব্য নেই: