“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

শরণার্থী



।।শিবানী দে।।












ধেয়ে আসে বিভীষিকা, মৃত্যুস্মৃতি, পোড়াঘরে লেলিহান,
সামনেও নিরালম্ব, নির্বিকার পথহীন পথ অফুরান---
বৃষ্টি ও চোখের জল, খিদেতেষ্টা  মিলে একাকার
নয়ানজুলির ধারে, রাস্তায়, অস্থায়ী তাঁবু্র ঘরবার
হত্যাকারী, দেশপ্রেমী অস্পষ্ট কে জড়িত সন্ত্রাসে,
নদীজলে ভেসে যাওয়া শিশুটির মুখ মনে আসে।
কৃপণ দুনিয়া আজ বড়োজোর ধরে মুঠো ভিখ,
নীতি রাজনীতি চক্রে ঘূর্ণ্যমান আহ্নিক বার্ষিক,
পৃথিবী বড়োই ছোট, নেই নেই কোথাও আশ্রয়।
নষ্ট দয়া, মূল্যবোধ, মানুষের চূড়ান্ত পরাজয়।
কারুণিক-আরাধনা উৎসবের বড় বেমানান এই মাসে
মানুষের হাড়মাস ঈশ্বরের দাঁতে লেগে আছে ।


কোন মন্তব্য নেই: