।। ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার।।
যে সিগন্যাল বাধাপ্রাপ্ত
হয়ে ফিরে ফিরে যায়
বারবার, বোধের দেয়াল হতে,
প্রহরীর রাডারে
থাকেনা চিহ্ন
অথচ আশ্চর্য –
বোধ নিজেই সে উপাদানে
গড়া!
এমনকি প্রহরী থেকে
ফটকের স্থূল তালাটাও।
চলো চিনে নিই, বুঝে নিই আজ
সেই মহাশক্তি,
নেহাত মুহূর্তের
জন্যই না হয় হোক
সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মে একটি যাত্রা।
জানি ফোটনের গতিও
অবাধ নয়,
সে ও থেমে যায়,
তার চেয়ে ভালো
শব্দারোহণ
চলো মন্ত্রবাহনে ধরি
তরঙ্গের পথ।
ন্যানোমিটারের গভীরের
আশ্চর্য জগৎ!
শূন্যস্থান, বিশাল ব্রহ্মাণ্ড
চতুঃপার্শ্বে ভ্রাম্যমাণ
কর্তব্য-ব্যস্ত
লক্ষ-কোটি অণু পরমাণু।
আমি মোহিত হয়ে চেয়ে
থাকি
নিজের বিশ্বরূপে
নিজেই স্তম্ভিত!
তারও আরো গভীরে তাঁর
উপস্থিতি
সর্বকারণের কারণ
স্বরূপ
যাবতীয় দৃশ্য-অদৃশ্য
শক্তির আধার
নিউক্লিয়াস; আদ্যাশক্তি মা আমার।
হে চালিকা শক্তি, আমি মুহুর্মুহু
রোমাঞ্চিত হই
হে সর্বব্যাপী,বুঝেছি বৃথা এত খোঁজ,
এ সৃষ্টি যে আর কিছুই
নয়
তোমার ধনাত্মক
ঋণাত্মক বিভূতি সমাবেশ ছাড়া।
তোমার যে আশ্চর্য ঐশ্বর্যে
ব্ল্যাকহোল প্রসব করে ব্রহ্মাণ্ড
মৌল-যৌগ, সময় পায় গতি,
সেই মহাশ্বৈর্য বলে
হে যোগমায়া-
জেগে উঠো বিশ্বময়
ব্যাপ্ত সকল বোধের কোষ কেন্দ্রে।
মুখস্থ বিদ্যা আর
অনুমান নির্ভর সংস্কারের ঊর্ধ্বে উঠে-
আমাদের জাগ্রত কুণ্ডলিনী
স্বীয় অনুভবে গেয়ে উঠুক
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু
............।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন