“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

শরতের ব্যাকুল বেলায়


।। অভীক কুমার দে ।।
.
(C)Image:ছবি










তবার যতটুকু বলবে ভেবে কাছে আসো
সব গোছানো কথা মনস্কতার অগোচরে 
ঘাম জমা করে লোমশ শরীর,
জেগে ওঠে একে একে অস্থির শিশির বিন্দু।
চোখাচোখি হলেই বিন্দু সব আরও ভারি হয়, শীতল শিহরণ,
তিরতির কেঁপে উঠলে সংবেদনশীলতা আর
সবুজ মন আরও সবুজ দেখায় অজান্তেই।
রোদের লোভনীয় চোখ জেনে নেয় সব,
হাসি হাসি চোখে রঙ ঢালে
রঙ ছড়ায় চোখ থেকে মুখে।
বিন্দুর গায়ে হীরকরূপ দেখে
বাতাসের যতসব দেউলিয়া বকাঝকায়
বাঁধা মানে না মন,
বরং এদিক ওদিক অচেনা উড়ালকুয়াশায়
আরও আরও কামুক হয়ে উঠি মুখোমুখি তুমি আমি এবং
নিঃশব্দ আচরণ।

কোন মন্তব্য নেই: