“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

~~~দিশারী~~~

।। সিক্তা বিশ্বাস।। 











ধর্মান্ধতা এক নেশার পণ্য যেমন-গাঁজা ,গোটকা,পান !
সবাই ভাবে এই পেয়েছি এক স্বর্গে যাবার মূল সোপান !


ধর্মান্ধতার নেশার ঘোর 
ছুটে বেড়ায় দোর থেকে দোর
একের থেকে হাজার ঘুরে
লক্ষ হয়ে ক্রোশে পড়ে l 
গুরুর নামে যদি থাকে জোড়া'রাম' ,
ভেল্কি দেখায় অন্তকাম !
জয় গুরুদেব তোমার জয় 
বাকি গুরুদের হোক না লয় !
লম্ফঝম্ফ ধর্মের জয় 
ন্যায় থেকে হয় বোধের লয় l
আঁকড়ে ধরার মহিমা অপার ,
রংবেরঙই জাদুর বাহার !
লাগ ভেল্কি বারংবার  
সংখ্যা যোগাড়ে চমৎকার l
ধৰ্ম যে মূল মার্গ ও পথ  
ভাবতে গেলেই বিষবৎ !
ভাবো ধৰ্ম পরম জোর
আঁধার কেটে হবে ভোর l
গোঁড়ামি যে আজ অহংকার !
চারিদিকে তাঁর দ্রুত প্রচার !
গুরু যদি না হন বিত্তবান  
কি করে রয় ভক্তের মান !
আকাশবৃত্তি ফকিরদারি  
হতে কি পারে জনহিতকারী !?
বিশ্বজোড়া ব্যবসাদারী  
প্রতিযোগিতার পাল্লা ভারী !
আবার যদি গুরু না হন যৌবনজয়ী
কি করে হন শিষ্যের মনোজয়ী !
যৌবনধারী বিত্ত-গুরুর জবরদারি
ভরণপোষণের প্রাণহরি l
জয় গুরুদেব তোমার জয় 
জয় জয়কার হোক চির অক্ষয় !
গুরুবিত্ত ,গুরু প্রবৃত্ত ,গুরুদেব সারাৎসার  
গুরুরেব পরম বর্ম , রাজ্যজোড়া হাহাকার  ॥
     ঝোড়োমেঘ ।        শিলং - ৪ ।
 

কোন মন্তব্য নেই: