“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮

হলুদ পাতা

।। সুপ্রদীপ দত্তরায় ।।













লুদ পাতা
বয়েসের মাপকাঠিতে আমি হলুদ পাতা 
ফাগুন হাওয়ায় দুরুদুরু বুক
শক্তি শেষে শুধুই আঁকড়ে থাকা
মনে আমার বসন্তেরই সুখ।
ভালবাসা-  বহুরূপী রূপে আমি দেখেছি 
আগুন নিয়ে বাজিকরের খেলা
 
চোখে আমার ছবির মত স্মৃতি
  --
দিদির উদ্বেগ --,বাবার শঙ্কা ---,
মা নামের সেই মমতাময়ী ভেলা।
আবেগ নিয়ে আদিখ্যেতার বাহার --
আদুরেপনায় নানান ছলাকলা --
হিমেল শীতে বর্ষা সিক্ত চোখে
 
আমি অনেক দেখেছি সর্বনাশী পালা।
স্বয়ম্বরে স্বাধীনতা নেই জানি,
 
তবুও মনে আমার বসন্তেরই দোলা।
ভালবাসা মানে নাকি মন বিনিময়
বিনিময় দুর ছাই, শুধু অভিনয়
দেনা আর পাওনাতে দর কষাকষি
 
ভালবাসা শুধু ত্যাগ আর পরাজয়।
তবুও বলতে শুনি অতনুকে বিশ্বাসে
 
মনের মধ্যে শুনি সুখ পাখি বসে ।
অন্ধঘরে নিশি ডাকে কিসের সংঘাত 
শরীর যুদ্ধে ক্লান্ত শরীর শুধুই অবসাদ।
জীবনটা তো খেলনা নয়,
  হাতে গোনা কড়ি, 
কখন শুরু কখন যে শেষ মিথ্যে বড়াই করি।
সকল ঝঞ্ঝায় তুড়িতে আওয়াজ তুলি
মনের আমার দখিন দোয়ার খোলা ।
সুখ দুঃখের দোলার পরে চড়ে
জীবন তো নয়,যুদ্ধক্ষেত্র,জীবন্ত নাগরদোলা ।


কোন মন্তব্য নেই: