“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

রাজা

।। অভীক কুমার দে ।।
(C)Image:ছবি










হাতলওলা চেয়ারে ঘুমিয়ে রাজা
ডিজিটাল ক্যাসেট চালিয়ে সংকীর্তন শোনান ক্ষুধার্ত প্রজাদের।
ঠাকুরঘরের দানবাক্সে রাজস্ব সুখে ঘুমায়
অতি যত্নে লালন করেন পুরোহিত,
সিঁড়ির পর সিঁড়িতে ভিখারি প্রজা।
প্রজার পেটে ধর্ষিতা ক্ষুধা
ফুটপাতে জন্ম দেয় পরিব্রাজক।
রাজা মনে করেন,প্রজা মানেই ক্ষুধার্ত মুখ
ফুটপাত প্রদর্শনী
দেখার কেউ নেই
সুতরাং সর্বোচ্চ মূর্তি দেখুক প্রদর্শন।
রাজা দেখেন,কালো সম্পদ সাদা হয়ে আসছে
পুষ্পরথে ডিজিটাল রাজকোষ
সীমানার ভেতর সীমানা টেনে।
রাজা জানেন,চতুর্দিকে প্রহরী আছে
সন্ত্রাস ঢুকতে পারলেও প্রজার মুক্তি নেই।


কোন মন্তব্য নেই: