“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

মাপকাঠি

          
              


















।।   সিক্তা বিশ্বাস ।। 
               

দিন যায় কর্মকাণ্ডের ভেলায় চড়ে
কত মুহূর্ত যাঁতাকলের তলায় পড়ে
কেবল শাসন শোষণ আর দলন
ছকের বাইরে নেইকো নড়ন চড়ন !

আর রাত ,সে যে কর্মশেষে আমার পাশে
ঠিক জানে ,কেউ বসে তারই আশে
কেমন বোধ ! একান্ত নিভৃত অন্তরের
অজানা আশা কেবলই আকর্ষণের ...

জানি সে দেবে না মোটেও ফাঁকি
জানে সে,ঠিক তার দিকেই চেয়ে থাকি
দিনের শেষের একান্ত আপন সাত-কাহন
আর কেউ নাই বা শুনুক ,ঠিক সে শুনবেখন

প্রশ্ন আমার আনন্দকে ঘিরে
কেমন যেন লাগে অচেনা তারে !
ঠিক যেন আলেয়ার মত জ্বলন্ত মরীচিকা 
সবার সাথে ভাসে ,একান্তে কেবলই কুহেলিকা !

তবে একেবারে নিশ্চিন্তি দুঃখ নিয়ে
কেমন রয়েছে সে একান্ত আমার হয়ে
মোটেও যাবে না ছেড়ে নেইকো চিন্তা
বড্ড ভালোবাসে যে !মুক্ত দুঃশ্চিন্তা

প্রশ্ন-জোয়ার উঠলো ফেঁপে  শুধোই রাতকে , কে বেশী
বাসে ভালো বলতো মেপে ,বললো হেসে তুমি যে চুপসে !
এই দর কষাকষি ব্যবসাদারের !মহাজন তোমরা ,
তোমাদের লাভক্ষতি  চুলচেরা  হিসেবের !

আমরা বেহিসেবি জড়িয়ে থাকি
যে যেমনটা চায় , দিই না ফাঁকি !
ধন্য মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব ,মাপকাঠিতে বড়ই গরিব !
জীবনধারা খেয়াল ছাড়া ,আত্মতুষ্টিতেই আত্মহারা !

                     ******************


কোন মন্তব্য নেই: