“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮

ভেতর ঘরের ছবি

।। অভীক কুমার দে ।।








ই তোরা দেখ,
ওই তোরা দেখ রাজা চলেন ধর্মগুরুর পিছে,
গুরু তিনি মুচকি হাসেন রাজ্য উনার নিচে।
আসন পেতে দেখেন শাসন
রাজার হাতে ভাঙছে বাসন
প্রজা যিনি দোষের ভাগি ঋণের দায়ে পচে।
ওই তোরা দেখ,
ওই তোরা দেখ গুরু তিনি দেশের টাকা ভোগী,
রাজ্যবাসীর ক্ষুধার জ্বালা, দেনার দানে রোগী।
দেনার চাপে হাজার ব্যানার
উপায় কোথায় গুরু চেনার ?
রাজার সাথে তাল মিলিয়ে অলস যিনি যোগী !
ওই তোরা দেখ,
ওই তোরা দেখ রাজার মাথায় গুরুর হাতের ছোঁয়া,
ওরা দুজন সুখেই আছেন বাকি সবই ধোঁয়া।
বাঁকা পথে উড়ছে টাকা
তলে তলে পকেট ফাঁকা
প্রজা সে সব বুঝবে কেন ওদের হাতের মোয়া ?
ওই তোরা দেখ,
ওই তোরা দেখ ভোটের লাঠি ভোটের মাথা ঠুকে
ঠোকাঠুকির হিসেব কষে রাজা দেখেন সুখে।
কতক লিখে ভুলছে শতক
পাঁচের প্যাঁচে অনেক দশক
স্বপ্নগুলো মরছে আজও নাগরিকের বুকে।
ওই তোরা দেখ,
ওই তোরা দেখ তোদের ঘরে ভেতর ঘরের ছবি
অভাব নামের সদস্য সে সোম থেকে ঐ রবি।
দেশের বিধান নাশের বেশে
প্রজার ঘাড়ে ভোটের শেষে
তোদের দেখাই রাজার মুখোশ আমি পাগল কবি।


কোন মন্তব্য নেই: