“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

কেতাবি আলমারির ভেতর

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি










কিছু কাগজকাটা পোকা বাঁচিয়ে রাখো সনাতন;
শব্দের ভেতর যদি সমাধিস্থ হয় কবি, কবিকে কাটুক।
কেতাবি আলমারির অন্ধকার ঘন করে যে বুক
দুর্গন্ধ নালা
 
লুকিয়ে রাখা তুরুপের তাস !
চালের পর চালে জালে তোলে,
মিঠাস্রোতে নোনা ঢেউ উঠলে সাহিত্যও যুগের দ্রৌপদী
দায়িত্বহীন স্বামীমন্ডলীর উলঙ্গিনী হতে আসে।
সনাতন, সৃষ্টি শব্দ দৃষ্টি মানুষ এসব খুলে রেখে
কবিকে দ্রৌপদী সাজিয়ে নাও বরং,
কাগজকাটা পোকা ঢুকিয়ে দাও বুকে
শব্দের ভেতর যদি সমাধিস্থ হয় কবি, কবিকে কাটুক,
সব দুর্গন্ধ বেরিয়ে যাক,
নিঃশব্দে মাথা নত হবে না দুঃশাসনের কাছে এবং
শব্দেরা বেঁচে যাবে কেতাবি আলমারির ভেতর।


কোন মন্তব্য নেই: