“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

দুচোখের দিঘিজল

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি








খন বিকেলের সূর্যে তেমন আলো নেই। জ্বলন্ত কয়লা থেকে সদ্য বের করে আনা একটুকরো গোলাকার লোহার পাত ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হচ্ছিল যেন। আমরা ক'জন বিজয় সিংহ দিঘির জলে শরীরের ছায়া ফেলে দাঁড়িয়ে। দিঘির জলে মাছের খেলা দেখতে দেখতে কথা হচ্ছিল, অনেক কথা...

তখন বিকেলের সূর্য আর নেই। শীত শীত আমেজে রঙিন ছাতার তলায় শরীরে ঘন শরীর দেখে দিঘিপাড়ের ল্যাম্প পোস্টে জ্বলে উঠেছে আলো। পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া মানুষের চঞ্চলতা দেখে আকাশের ভালো লাগেনি। কুয়াশার চাদর জড়িয়ে দিতেই আশপাশে ছায়া ছবি। অশান্ত আলো, কুয়াশা চাদর ঠেলে জলবিছানায় ঘুমোতে এসে কেঁপে উঠছিল বারংবার।

তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের পূর্ণিমা হাসে। কাল থেকে কলা ক্ষয়। গরম কফিতে চুমুক দিয়ে দেখেছি বাইরে ভেতরে বদল হচ্ছিল তাপমাত্রা। বুকের কোথাও ভারী হয়ে উঠছিল নিঃশ্বাস। লাজুক কুয়াশা লুকিয়ে রেখেছিল শুধু দুচোখের দিঘিজল।


কোন মন্তব্য নেই: