“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

দ্বন্দ্বদুয়ার ও নীলজাল

।। অভীক কুমার দে ।।
















শীত শীত কাকভোর। ঘর থেকে বাসা,ঘুম ভাঙার প্রতিযোগিতা। হুহু করে কেঁদে উঠে ভেতর। অদৃশ্য কষ্ট গলে ক্ষুধার মোচড়। এক নদীর কিছু জল গড়িয়ে গেলে বোধ জাগে-- একটা সকাল প্রয়োজন।

ঘুম ঘুম চোখে মৃদু আলো। ভোরের যত ক্ষুধা বাড়ে, ততই বিতৃষ্ণা। কিছু অবাঞ্ছিত ছায়া মুখে পড়ে ! টের পাই-- এ আকাশ নীল নয়। ভোর হবার সময় মেঘকেই নীল মনে হয় এবং নীলের মত রঙ ধরেই ঢেকে রাখে আসল রূপ! ধরা যায় না,ছোঁয়া যায় না, শুধু মিথ্যে অভিনয়ের কারসাজি।

জাদুঘর। সত্য আড়ালের একমাত্র উপকরণ নীল। চাহিদা পূরণের মত কঠিন ইচ্ছের কাছে হেরে গেলেই স্বপ্ন ভাঙে,চিমটি কাটে গভীর খাদ এবং পড়তে থাকি আর ছুটতে থাকি,তবু নীলের দূরত্ব কমে না।

গতিশীল ঘর। দ্বন্দ্বময় একটি দুয়ার। আলোর খোঁজেই খুলছে প্রতিদিন এবং মায়াবী মেঘের মতোই আচরণ।দুয়ারে ভিড় করে থাকে সংগ্রামী জীবনপোড়া ধোঁয়া,জমাট বাঁধে বুকে।যতবার ছুঁতে চেয়েছি এই বুক,ততবার অদৃশ্য আমি নীলজালে।


কোন মন্তব্য নেই: