“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮

চেতনভূমি

।। অভীক কুমার দে ।।













এই আকাশের জমি খালি নয়
তুমি শূন্য ভেবেই বারংবার ঘুরে বেড়াও নিজ কক্ষপথে।

একটিমাত্র নক্ষত্রমণ্ডলীর ভেতর থেকে
গণনা শিখলে হাতে,
গণনার বাইরেও আমি
অগণিত ভাবনায়, চেতনভূমি জুড়ে।

একেকটি নক্ষত্রমণ্ডলী যেটুকু ভাবতে পারে
সেই সীমানা পেরিয়ে আমার নীল,
সব আগুনের গায়ে তার-ই প্রমাণ স্বরূপ জড়িয়ে থাকে।

কাল্পনিক কক্ষপথে তোমাকে ছুটতে দেখে মনে হয়--
 
খাসজমির পাহারাদার।

সামান্য আলোয় অহংকারী হয়ে উঠলে বৃত্ত
সীমান্তের দেওয়াল বরাবর আমার নীল ফ্যাকাসে হতে থাকে।

বুকের ভেতর লুকিয়ে রেখেছি আকাশ
নীরবে আলোর চাষ করি।


কোন মন্তব্য নেই: