“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

খড়্গ ঝুলছে


।। শিবানী ভট্টাচার্য দে ।।









ই যে কলম, এইযে তোমার স্বর  
যে কোনো সময় চুপ হয়ে যেতে পারে
খড়্গ ঝুলছে, ঝুলছে মাথার উপর
স্পষ্ট সত্য বড় কানে বাজে, ওরে।

কত সাধে খুঁড়ে কঙ্কাল আনো বাইরে
কে মরে কোথায়, কোথায় লুকোয় লাশ,
কে কাকে কী দিল, নিলই না হয় কিছু
কেন বা এতই সখের তত্ত্ব তালাশ।

বিশ্বাস যেন ছিল কাহাদের আপ্ত  
অসির চাইতে ধারাল মসীর লেখায়---
মিথ্যে ও বোকা পুরোনো সেসব কথন
ক্ষমতা অট্টহাসিতে আকাশ কাঁপায়।

কতনা কলম ভাঙল পায়ের তলায়,
সোজা মাথা কত গড়াল মাটিতে, কারণ
শক্তিমানের গিয়েছে বিরুদ্ধতায়
যে, তার শাস্তি ফাটক অথবা মরণ।

আমি যা পারব পারবেনা তোমরা তা---
হাজারো উচ্চ জুমলা পরিবেশন,
কথায় ভোলাবভুলবার বহু জন
এখানে মানুষ বড়ই নাটকপ্রবণ।

যারা নিচে আছে নিচেই চিরটা কাল
থাকবে, উপরে যারা আছে সেখানেই;
তবেই থাকবে শাসন অনুশাসন
রাষ্ট্র সমাজ চালায় মুষ্টিমেয়েই।

এইসব কথা বুঝতে পারেনা যারা,
ক্ষ্যাপায় লোকের অধিকার কথা তুলে,
বিড়ম্বনায় ফেলছে কর্তৃজনকে
তাদের দমাব সমূলে উপড়ে ফেলে।

এই যে কলম, এই যে রে তোর স্বর,
যেকোনো সময় চুপ করা যেতে পারে 
খড়্গ ঝুলছে, দেখছ মাথার উপর?
কথা বলা তোর থামাবি এখন, ওরে?






কোন মন্তব্য নেই: