“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭

ভেঙ্গে যায় বিশ্বাসের ডানা

।। শিবানী ভট্টাচার্য দে।।















স্ত্রহাতে দেবীর প্রতিমা মন্দিরে মন্দিরে
স্তোত্রে তেজস্বিনী
যুদ্ধরতা অসুরমর্দিনী
জলে ভেসে যায় চারদিন পুজো পরে
রংচটকানো, উদোম, বিক্ষত শরীর।
প্রতীতি এমন-----
আকাশের দিকে তোলা হতাশ নয়ন
কোনো গণধর্ষিতা যুবতীর,
অথবা সুপ্রজা দুঃসহবোঝা বয়স্কা জননীর,
দরিয়ায় ভেসে যাওয়া শরণার্থী কচিমুখটির।
অর্থহীন প্রলাপের বাক্যস্রোত ঠেকে
মন্ত্রের বিন্যাস।
পুরানো বিশ্বাস
বহুদিন উড়ে যেত স্নিগ্ধনীল শরত আকাশে
কোনো এক মহাজননীর বরাভয় হাতের উদ্দেশে।
আজ মনে ভয় ছায়
কোথায় প্রার্থনা যাবে, হায়
শরণীয়া জননীও বড় অশরণা---
ভেঙ্গে যায় বিশ্বাসের ডানা ।




কোন মন্তব্য নেই: