“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

কালী

             ই ছবিটি দেখলেই মনে হয় ধুন্ধুমার কিছু লিখি,

নিজেকে চুরমার করি,  যেন এই আভূষণ তাঁর নয়, তিনি গোধূলি, পর্বতমালা আর সমুদ্র পরিধান করে আছেন, এই সমূহ লাল আমার কলমে, আমার আধারে ঝরে যাক, ইত্যাদি ইত্যাদি, বাট হয় না।
কান্না আসে।
        সেই কান্না,  যার উৎসে কোন দুঃখ নেই, অতৃপ্তি, অভালোবাসা, অপ্রেম, অপ্রাপ্তি, বিষাদ, অপমান, মৃত্যু--  নাহ্, কিছুই নেই, তোলপাড় জিজ্ঞাসা করেছি নিজেকে, পাইনি ! একটি ভীষণ পিওর জাফরান রঙের টিনএজ কান্না।
       এই নারীকে দেখলে আমার আর শ্মশান, শবদেহ, মুণ্ডমালা, রক্তপান, সুরা, শিব, কাপালিক, নগ্নতা, দেবীভাব, হেমন্তকাল, নদীতীর, জবার আহুতি, অট্টহাস্য কোনকিছুই মনে হয় না।
মনখারাপ লাগে শুধু।
          এই সেই মেয়ে , যার কোন পারাপার নেই, এর মধ্যে দিয়ে আমি বয়ে যাব, মোক্ষভাব গচ্ছিত রেখেছি পদতলে, দরকার মতো চেয়ে নেবো, এখন তোমাকে দেখি, এ সৃষ্টির স্রষ্টা যিনি , দুরন্ত মেধা তার, সেই মেধায় আলো ছড়ায়, প্রণাম আসে মন থেকে ।
তাই তো?
      একটি প্রণামের জন্য মন কাঁদছে, খুঁজে পেয়েছি কারণ।
         একজন মানবী চাই, যার পায়ে লুটাবো তৃণদল, যাকে আভূমি প্রণাম করবো, তিনি সর্বাংশে রিক্ত হবেন, অসীমে পূর্ণ হবেন, পিওর হবেন...
....চিরশ্রী


কোন মন্তব্য নেই: