“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭

বৃষ্টিকথা

।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন।।
(C)Image:ছবি











পানছড়ির পাহাড়ের গায় ভ্রাম্যমাণ মেঘের বিরতি
ছবির মতো স্থায়ী ও প্রামাণ্য আসঙ্গকথা
চিরকালীন প্রণয়কল্প বুনে চলেছে বিরামবিহীন
মাহ ভাদরেও ঝরে কান্নার অশ্রু বিরহকানাৎ বেয়ে
কোন মেয়ে কৌমাৰ্য হারালো শেষ বাদলের আঁধারে
কার শুধু নগ্ন লাশ
  পড়ে আছে স্বঘোষিত দেবভোগের
উচ্ছিষ্ট ভাণ্ডের মতো ৷ ভাদুরে বর্ষার জল ধুয়ে যায় শব

কাদের কান্নায় এ যাবত কেঁদে উঠেছে বনমানবের বুক
কোন প্রমাণপত্র বাতাসেও ওড়ে নি তো কোনদিন
ভালোবাসা তবুও লোমশ বুক বালিশপ্রতিম আস্থাঘর
সমস্ত সমরাস্ত্র নতজানু হয়ে মানবের পায়ে নুয়ে পড়ে
রক্তপিপাসু রণ নয় ৷ হৃৎপিণ্ড তাক করা আয়ুধও না
ধারালো ফলা ভেঙে জীবনজল হয়ে ঝরুক জনপদে

কোন মন্তব্য নেই: