“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৭

নদীর তীরে

                      
           ।।   রফিক উদ্দিন লস্কর   ।।

(C)Image:









জীবন নামের নদীর তীরে দামাল শিশুটি,
ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় মাতে হাতে নিয়ে মাটি।
সারা দিনের খেলা খেলে যখন বাড়ি ফিরে
দুষ্ট আঁখির মিষ্টি ঘুম রাখেই তাকে ঘিরে।
ভালোই লাগে দেখতে তার সাগর নদ-নদী,
কোথায় ছুটে এতোই জল যায় যে নিরবধি।
বাদলা দিনে পাল তুলে যে ছোট্ট তরীখানা,
পাড়ি জমায় দূরদেশেতে যতই কর মানা।
আমরা যখন বসে দেখি তাহার এমন খেলা,
পিছন দিকে চেয়ে দেখি পড়ে গেছে বেলা।
সে যে এখন ব্যস্ত ভীষণ ভাঙা-গড়া খেলায়,
আর দুপুরবেলা বয়ে যায় শুধু অবহেলায়।
দুপুরবেলা রবির কিরণ লাগতো যদি গায়ে,
ছুটতো বাসায় আপনমনে ছোট্ট দু'টি পায়ে।
আমরা যারা বুঝতে পারি ভাঙা-গড়া খেলা,
সময়টাকে কাজে লাগাই না করিয়ে হেলা।
জীবন তোমার এমন করে কতদিন বা যাবে?
কাজে লাগাও সময়টাকে যত সময় পাবে।
******************

০৪/১০/২০১৭ইং
নিতাইনগর, হাইলাকান্দি (আসাম-ভারত)

কোন মন্তব্য নেই: