“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭

এতো বড় রঙ্গ জাদু...

।। নীলদীপ চক্রবর্তী।।
 (কলকাতা থেকে প্রকাশিত 'অর্কিডকাগজে পূজাসংখ্যা ১৪২৪ )
(C)Image:ছবি


ঙ্গমঞ্চ ঝলসানো সব রংমাখা নট-মুখ 
নটদের বুকে দুরু দুরু ভয়, প্রথম অংক শুরু
আলোর ফোকাস শব্দক্ষেপণ নাটুকে পদক্ষেপ
রঙ্গালয়ের কুশীলবদের ক্ষতবিক্ষত বুক

নাট্যদৃশ্যে অভিনেতা কিছু দালান কোঠার বাসি
গৃহসাজে আছে চাকচিক্য, আবহ বদলে যায়
স্বগৃহে তাঁর রুগ্না স্ত্রী, যমে মানুষে লড়ে-
দ্বিতীয় ফোকাসে আলো নিভলেই আঁধার পুনরায়

ড্রপসিন পড়ে বিরতির বেল এবারে মধ্যান্তর
প্রথম অংক দ্বিতীয় অংক, পূর্ণদৈর্ঘ্য পালা 
কৈশোর পেরিয়ে ভরা যৌবনে মঞ্চের কুশীলব
দৃশ্য শেষে, মৃত্যু শিয়রে নেই গত্যন্তর !

রঙ্গমঞ্চ ঝলমল করে পেছনে অন্ধকার
অনু পদক্ষেপে সঞ্চারে সব অভিনেতা রংমাখা
মরো-মরো কারো পরান ভোমরা কেউবা প্রাণময়
এতো বড় রঙ্গজাদু, নট নটীদের গাথা !  




কোন মন্তব্য নেই: