“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭

মেরুপাড়া গাঁ


।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি













.
সাব্রুম শহর পেরিয়ে--
দোলবাড়ির পশ্চিম আকাশের রঙ
সবুজ ধানক্ষেত থেকে ডুবন্ত সূর্যের রশ্মিসুতো ফিরে আসছে বড় গাছেদের ডালে,
ফেনীটাও বেঁকে গেছে এখানে শেষ বিকেলের আলোর মতোই;
তারপর ওকে আর দেখি না,
হারিয়ে গেছে বিকেল বিয়োগের আঁধারি কষ্ট বুকে।
.
বিভাজনের কাঁটাতার ছুঁয়ে একসময় উদাসী সন্ধ্যা নেমে আসে
রাণীর বাজারের রাণীর মতোই,
বাড়ি ফেরা রাস্তায় কোন যুবতী শ্রমিক চা বাগানের সরুপথে...
তার হেঁটে যাওয়া ফেনী ছন্দের উঁচু- নিচু ঢেউ
পাহাড়ি পথের চলনরেখা টেনে গেছে বহুদূর,
যেদিকে বটতলার গা ঘেঁষে মেরুপাড়া গাঁ,
যেখানে ভারত- বাংলার পাহাড়ি জল
সীমানায় দাঁড়িয়েও বিভেদ বোঝে না।

কোন মন্তব্য নেই: