“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭

দার্জিলিং খবর

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি














.
কোন মেঠো ফসলের ঘ্রাণ নেই গায়ে,
আজীবন জেগে থাকা কুয়াশার ভেজা ঠোঁট
চুষে খায় শুধু পাথুরে শরীর;
তবু চা গাছের যৌবন ঢেউ চলে গেছে চড়াই উতরাই হয়ে
যেখানে মেঘের ঘাঁটি থেকে তরুণ মেঘেরা
মাথা তুলে দেখছে আকাশ।
খোলা আকাশে পাখিদের উড়ে যেতে দেখে--
বাঘাপাহাড়ের কোল থেকেই সূর্যের রঙ ছোড়াছুড়ি আর
ঘুম স্টেশন থেকে বেঁকে যাওয়া রাস্তায়
বাষ্পীয় ইঞ্জিনের পুরনো গান শোনা যায়।
পাহাড়ি ঢালে পরগাছার মতোই ঘর, ঘরের ছাদে সাজানো টব,
যে কেউ বুঝে নিতে পারে--
সাদাকালো ফিল্মিদুনিয়ার শেষে
সদ্য জেগে ওঠা রঙিন ছবির যেটুকু জোয়ার উঠেছিল বুকে
আজও লেগে আছে প্রথম প্রেমিকের ছায়াস্বপ্নের সুখ,
এখনও জোনাকির মতোই রাতের পর রাত চেয়ে থাকে দার্জিলিং
নীলাঞ্জনার দিকে।

কোন মন্তব্য নেই: