“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮

ভূমিপুত্র ভূমিকন্যা


।।  বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ।।


(C)Image:ছবি















ভূমির এপার ভূমির ওপার
মধ্যি খানে নদী
খেয়ার ওপর খেয়োখেয়ি
যাত্রী গাদাগাদি।

এপার ওপার আসা যাওয়া
অনাদি অনন্ত,
শস্য শ্যামল,অপার সুখ-
এপ্রান্ত ও প্রান্ত।

কোথাকার জল কোথায় যায়
কেউ তা জানে না
রাজার নীতি অদলবদল
করতে নেই তো মানা।

উড়ে এসে জুড়ে বসে
হল ভূমিপুত্র
ছিল যাঁরা তাঁদের এবার
খুঁজছে যোগসূত্র।

আমার আঁচড় মৃত্তিকাতে
তোমার মানচিত্রে
সে আঁচড়ে বেঘর আমি
বলো তো কোন সূত্রে?

অ আ ক খ এক দুই তিন-
এই তো মোদের গর্ব,
মোদের আশা' বাংলা ভাষা'
এই ভাষাতেই মরবো।

এই গরবেই ছন্নছাড়া
নকল ভূমিপুত্র
দলবেঁধে তাই হাঁক পাড়ে- দাও
তোমার যোগসূত্র।

আমার সূত্র হাওয়ায় হাওয়ায়,
আমার সূত্র ভূমিতে
ডিঙিয়ে পাহাড় তোমার সূত্র-
এত গর্ব কীসেতে?

সাগর নদী পাহাড় মাটি-
এখানেই মোর লিগাসি
ডাটা ভাসে জলে হাওয়ায়
পাট্টা আমার মৌরসি।

অর্ধশতক আগের সূত্রে
নাইবা বাঁধি ঘর
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ'
আমি হলাম পর ?

উজান ভাটি মিলে মিশে
আজ তো একাকার
কেন তবে নীতির বেসাত -
মিথ্যে হাহাকার?

যুগন্ধরের ধারায় দেখো
সংগসুখের বন্যা
সবাই আমরা ভূমিপুত্র
কিংবা ভূমিকন্যা।


কোন মন্তব্য নেই: