“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮

আমার সুখছায়ার ছাউনি

।। অভীক কুমার দে ।।


(C)Image:ছবি











১.
স্রষ্টাকে রোজ দেখি পত্রিকা হাতে পায়চারি করছেন।
হেডলাইনের মোটা হরফদের সাথে চোখাচোখি হয়,
চোখের কালো থেকে এক বর্ষাকালীন গম্ভীর ছবি
মেঘময়দানের ধুলোহোল্লোড়ের পর দীর্ঘমেয়াদি বৃষ্টি আবেগ
গড়িয়ে পড়ছে পত্রিকার বুকে;
কালো হরফরা ভিজে যায়।
চোখ আর হরফের মাঝখানে কোনো অঘোষিত হরতাল,
থেমে যায় শব্দ
থেমে যায় নড়াচড়া
আমি চেয়ে থাকি।
স্রষ্টা জানেন, অগণিত সৃষ্টি বোবাতটে পা ফেলে হাঁটে অনন্তকাল।
২.
আমার সুখছায়ার ছাউনি নিজের জলেই ভিজতে পারে একা।
যদিও ভেজা চোখের কোল শিল্পকায়দায় রঙের ঢেউ তোলে
আমি আমরা রঙিন হয়েই তুলি কাগজে
স্রষ্টার ছায়া ছবি হয়ে সুখে থাকি,
বেরঙ সব কালো হরফের ঘর খোঁজে রোজ।


কোন মন্তব্য নেই: