“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১

অভিশাপ

                                                        ।। শৈলেন দাস ।।

 


তীশকে সজোরে ধাক্কা মেরে মাঝরাস্তায় ফেলে দিয়েছে যে তার পরিচয় সে পার্টির ছেলে। সতীশের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পৌঁছানোর আগেই স্কিমের টাকা শেষ হয়ে গেল কী করে? এ প্রশ্ন উত্থাপন করায়ই এই বিপত্তি।

      কোমরের নীচ দিকটায় ভীষণ ব্যথা ও মনে বিষণ্ণতা চেয়ে গিয়ে সতীশের দুচোখ জলে টলমল করছে। উঠে দাঁড়ানোর মত শক্তি ও সাহস হারিয়ে ফেলেছে সে। আশেপাশে শ'খানেক মানুষ অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে। প্রতিবাদ করার মতো ধৃষ্টতা দেখাতে পারছে না কেউ। ঠিক সেই সময় ভিড় ঠেলে এগিয়ে এসেছে সতীশদের পাড়ারই 'পাগলি মাসি'। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সবাইকে অ-কথা কু-কথা বলে গালাগাল দিতে দিতে সতীশকে হাত ধরে টেনে তুলল সে।

      সবাই যে যার দিকে চলে যাচ্ছে, পার্টির ছেলেটি তখনও সেখানে দাঁড়িয়ে। সতীশ তার দিকে তাকিয়ে বিড় বিড় করে বলল মনে মনে, শতবর্ষের পুরনো পার্টি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে দেশ থেকে তোমাদের সুদিনও একদিন নিশ্চয়ই শেষ হবে।

 

কোন মন্তব্য নেই: