।। অভীককুমার দে।।
আকাশ
তখন আমি অনেক ছোট
প্রথম শ্রেণীতে,
তোমার গায়ে নীলরঙা জামা দেখে ভাবতাম--
স্কুলের হবে,কেননা আমারও একটাই ছিল
আকাশী।
তারও আগে
আমাকে উঠোনে শুইয়ে
মা যখন কাজে,
সেই নীলরঙা জামা গায়েই ঝুঁকে থাকতে তুমি
জামায় লেগে থাকতো মেঘ।
মনে হতো-
এই বুঝি খেলা থেকেই এলে;
সব ধুলোবালি স্কুল-জামায় !
বারবার ছুঁতে চেয়েছি,
মুছে দিতে চেয়েছি যত দাগ;
কিছু মেঘ স্থির থেকে গেলে কেঁদেও উঠেছি,
তখন কেউ বুকে তুলে নিলে অভিমান হতো খুব।
তোমার সাথে খেলবো বলেই কত খেলনা
ছুঁড়ে মেরেছি তোমার দিকে
যতবার ফিরে আসে ততবার
কতবার ধরতে গিয়ে উঠতে শিখেছি, হাঁটতেও।
আকাশ
এখন আমি অনেক বড়,
অচেনা শরীর,বদলে গেছে সব,
মনটাও...
অথচ
সেই নীল জামা আর জামায় লেগে থাকা মেঘ
আগের মতই !
শুধু অনুভূতিগুলো গেছে হারিয়ে।
এখন বুকের জমিতে আগুন,
বহুদূর নীল শিখা
এবং
মনখারাপের বেলায় জীবনপোড়া ধোঁয়া
মেঘ হয়ে ওড়ে...
না,এখন আর ছুঁয়ে দেখতে হয় না
বুঝতে পারি-
একটি শিশু ছিল আমার ভেতর,
স্বপ্ন দেখছিল।
শিশুটি হারিয়ে যাবার পর অন্যকেউ
আমার ভেতরপথে হেঁটে চলেছে।
সামনে অনন্ত নীল
মিশে গেলেই এক-আকার, একাকার;
তাতেই জীবনের সব রঙ ভাগ হবে,
হয়তো ভেসে উঠবে রঙধনু নীলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন