।। মুক্তি প্রসাদ দে ।।
(C)Imageঃছবি |
আজ সূর্য কে বলেই দিলাম,
"তোমার নেই প্রয়োজন আর’
আমরা অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসি।
অন্ধকারে থাকতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
সূর্য একটু বিরক্ত,
কী বলো! আমার আলো, আমার উত্তাপ!
তোমরা কী মূর্খ?
হ্যাঁ, আমরা এখন মূর্খের স্বর্গে আছি।
কানে শুনলেও চোখে কিছু দেখিনা।
সূর্য মুখ খোলে- গঙ্গায় লাশ ভাসছে
তোমার স্বজনের!
ও কিছু না, পুজো -আচ্চা, পূণ্যকাম ছাড়াই
গঙ্গাপ্রাপ্তি হচ্ছে, কম কথা!
ক্ষিপ্ত সূর্য- আর ‘যমুনা'য় যারা ভাসছে!
যারা বালির নীচে শুয়ে পড়েছে শার বেঁধে,
তাঁরা?
সৎ সঙ্গে স্বর্গবাসের অকাট্য প্রমাণ।
প্রায় হাল ছেড়ে দেওয়ার অবস্থায় সূর্য।
মূর্খেরা আশায় বুক বাঁধি,
কাগজে হেডলাইন -আসছে ভ্যাকসিন
ব্রেকিং নিউজ- স্টক পর্যাপ্ত।
খোঁজ নিতে গেলে ‘নিন্দুকে'রা বলে
সেন্টারে সেন্টারে বোর্ড ঝুলছে "স্টক নিল’
নিন্দুকদের ‘অপ প্রচার'!
আমাদের যা বোঝানো হয়, তাই বুঝি।
মূর্খের স্বর্গের বাসিন্দা আমরা বিশ্বাস করি
‘অল ইজ ওয়েল!'
সূর্য গেছে ‘জীয়ন' কাঠির খোঁজে,
আমরা নাকি শুধু মূর্খ নই,
মৃতও বটে!
ঈশ্বরে বিশ্বাস নাকি পৃথিবীর সহজতম কাজ,
কী জানি, হবে হয়তো!
অবাক শিশু গালে হাত দিয়ে ভাবে,
সত্যিই কি সূর্য গেছে ‘জীয়ন'কাঠির খোঁজে!
‘জীয়ন কাঠি- মরণ কাঠি' সত্যি আছে কী?
নাকি শুধু গল্পকথা বা কথার কথা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন