“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭

ভক্ষক নহে রক্ষক

।। জাকারিয়া ইছলাম ।।

(C)Image:ছবি


















ন বাদাড়ে বিচার চলছে
বিচারক সিংহ-বাঘ ;
বিচারপ্রার্থী হরিণ হনুমান
দুই দলে তার ভাগ ।
হরিণের দল ছাগল ভেড়া
গরু মহিষ হাতি ঘোড়া ;
আছে আরো জিরাফ গাধা
খরগোশ দু'চার জোড়া ।
নগণ্য নয় হনুমানের দল
ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিগ্বিদিক
শিয়াল শকুন কুকুর গণ্ডার
সর্প মিলিয়ে শতাধিক ।
হরিণের ছিল ঘোর আপত্তি
হৃদয় বিদারক অভিযোগ ;
শিয়াল তারে নির্যাতন করে
করেছে ন্যাক্কার উপভোগ ।
দারুণ হরষিত সিংহ মামা 
বাঘের ঝরে যায় লালা ;
বিচার কার্যের বিচার ভুলি
দমায় কামনার জ্বালা ।
লাল লাল চোখে রাগান্বিত
বাঁকাচোখে দেখে হনূমান ;
হরিণের গ্রীবায় দাঁত বসায়ে
বাঘ বলে তুই শয়তান ।
হরিণের দফা রফরফা প্রায়
গাছে হনুমান দিলো লাফ ;
বেগতিক দেখে পালাতে চেয়ে 
হরিণ আর পেল না মাফ ।
ভোগের বস্তু বিচার পায় না
খাদক হয় যদি বিচারক ;
ভোগেতে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে
জানান দেয় সে অপারগ ।
ভক্ষক কখনো রক্ষক হয়না
থাকেনা তার সে হৃদয় ;
চলার ধরণে রূঢ় আচরণে
ফুটে ওঠে তার পরিচয় ।

কোন মন্তব্য নেই: