“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭

শিশুর ঈদ

                           
                ।।  রফিক উদ্দিন লস্কর  ।। 

(C)Image:ছবি











রীব ঘরের ছোট্ট ছেলে তাঁর বিধবা মাকে শুধায়,
আচ্ছা মা, সবাই দেখি ঈদে নতুন কাপড় বানায়।
সবাই খায় যে ভালো খাবার, আমরা কেন খাইনা?
মোদের থাকে ছেড়া কাপড় নতুন কেন বানাইনা?
ছেলের এমন প্রশ্ন শুনে মায়ের চোখে পানি ঝরে,
ভেবে পান না মা; কেমনে বুঝাবে তার ছেলেরে।
অবুঝ শিশু! আবার মা'কে সে জোর করে ধরিলো,
আঁচল দিয়ে অশ্রু মুছে, মা শিশুকে বুঝিয়ে বলিল।
যারা জামা-কাপড় বানায় আর ভালো খাবার খায়,
তাঁরা এক মাস রোজা রাখে, তাই অনেক কষ্ট পায়।
আল্লাহ্ তাঁদের কষ্টের জন্য এতো পুরস্কার দেন তাই,
আমরা তো সারা বছর না খেয়ে রোজা রেখে যাই।
আমাদের রোজা শেষ হবে তখনি, মরে যাবো যখন,
আল্লাহ্ মোদের দেবেন পুরস্কার,জান্নাত পাবো তখন।
নতুন কাপড় পরায়ে গায়ে, দেবেন সব ভালো খাবার,
লাগবে কতোই খুশি, আনন্দের সীমা থাকবেনা আর।
এসব শুনিয়া শিশু; মা'কে আবারো সে জড়িয়ে ধরে,
"চলো না মা; আল্লাহর কাছে চলে যাই," আমরা মরে।
মাগো! আমারও যে  অনেক ইচ্ছে করে ঈদ করতে,
ভালো খাবার খেতে, আর নতুন নতুন কাপড় পরতে।
দেরী করোনা মা, চল না মা; মোরা আজিকে মরে যাই,
নির্বাক মা, অশ্রু চোখে, উত্তর দেয়ার মতো কিছু নাই।

------------------------------------------------------------------
২২/০৬/২০১৭ইং
নিতাইনগর,হাইলাকান্দি(আসাম-ভারত)

কোন মন্তব্য নেই: