তারপর, ঘোর রাত্রে
মৃত্যু এসে ডাকে
একাদশী উপোসের টান টান শরীর
রতিচ্ছেদ ...কাষায় বস্ত্রের মত খস্ খসে পঞ্জর ।
হাল্কা হাল্কা, ধার
ধার হাড়গোড়,:
ঢলে যাওয়া বুক, আর
নরম চামড়ার গায়ে
খড়ি খড়ি, হাত
বুলায় পরম মায়ায় ।
সে শীতল চন্দনের স্পর্শে যেন প্রথম
রাতের সেই ফুলশয্যা সুখ । আবেশে
চুরচুর চোখ, রজনীগন্ধার
মত নিঃস্পৃহ
কামুক । তুলসীর মায়া স্পর্শ
অতন্দ্র ছায়ায় ঢেকেছে আলোকরেখা
পুরনো পথের পাশে, ডিঙ্গি
নৌকা
এসে গেছে ; সুকোমল
কলার মান্দাস
হালকা চালে দুলতে থাকে ।
নৈশ শিসের ডানা বেয়ে বেয়ে সে ভেলাতে
একটি ক্ষুদ্র শয্যা -তারপর -
কোন মাঝি নেই, বৈঠা
নেই, দাঁড় নেই ।
দীর্ঘশ্বাস বাতাসের, পিছু ডাকা,
অনুরাগ, দুঃখ
ক্রোধ, ভালবাসাবাসি
অভিমান,হিংসা
দ্বেষ, সবকিছু খইয়ের মত
ছত্রাকার ছিটতে থাকে -
না পাতাল, না আকাশ,
না পাহাড়
নয় কোন সমুদ্র বিলাস -
অনির্দিষ্ট, পথহীন,চলে যায় নির্মোহ
মান্দাস ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন