“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ৯ জুন, ২০১৭

উনিশে মে

।।  কপোতাক্ষী ব্রহ্মচারী ।। 

















নিশকে দেখিনি কোনোদিন,
তবু তার রক্তে মিশে আছি আজীবন!
আমার জন্মের ঠিক এক-দশক আগে,
গুলিবিদ্ধ হয়েছিল যে এগারো তরতাজা  প্রাণ-
ওদের রক্তের বিনিময়ে,
আমরা ফিরে পেয়েছিলাম, আমাদের মাতৃভাষার অধিকার!
যে ভাষায় কথা বলে, গান গেয়ে, আমরাও আজ সব হয়েছি সাকার-
প্রাপ্ত সে অধিকার-বলে...
আসামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে-
একাদশ-শহীদের এই বলিদান,
আমরাও ভুলতে পারিনা কোনোদিন!
ভাষা শহীদের শিলচরে,
রক্তের ফোঁটা যেনো বৃষ্টি হয়ে ঝরে...
যে ধারায় প্রতিদিন-
স্নাত হই আমরা বাঙালী আর আমাদের তৃতীয় ভুবন-
যে ভাষায় হাসি- কাঁদি, গান গাই, সে সবার সম্মিলিত-ধন!
একাদশ শহীদের আত্ম-দান বারবার করায় স্মরণ,
আমাদের মাতৃভাষা, আমাদের অমূল্য -রতন!

কোন মন্তব্য নেই: