(৪ঠা জুন, দৈনিক যুগশঙ্খ) |
খেটে খাওয়া দিনমজুর থেকে দেশের
চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত যাদব মোলাই পায়েং
সম্প্রতি আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন, ছাত্র-গবেষক দের আয়োজিত এক বিজ্ঞান অনুষ্ঠানে। সাধারণ দিন মজুর থেকে সংবাদ শিরোনামে
আসা তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবেশ সম্মেলনে ডাক পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়।
যোরহাট সংলগ্ন অজগ্রাম কোকিলামুখ-এ ১৯৭৯ সাল থেকে একক প্রচেষ্টায় ধুসর বালুচর এলাকাকে একমাত্র
নিজের উদ্যোগে অভয়ারণ্যের রূপ দেওয়ার যে সংগ্রাম গত চার দশক থেকে চালিয়ে আসছেন, সেই সংগ্রামে
সহযোদ্ধা কাউকেই পান নি। জুটেছে শুধু নিন্দা আর অবহেলা। আলাপচারিতায় সেই সংগ্রামের
ধারাবাহিক ইতিহাস তুলে ধরলেন পদ্মশ্রী যাদব।
১৯৭৯ সাল। যাদব পায়েং-এর
বয়স তখন ১৬। বন্যার জল নেমে যাওয়ার পর বালুচরে যাদব অনেক গুলো মৃত সাপ দেখলেন। ভাবলেন, এই শুষ্কতা
কাটাতেই হবে। সেখানে প্রায় কুড়িটা বাঁশঝাড় রোপণ করলেন। এর পর নিকটবর্তী গ্রামে দুশো একর জুড়ে সরকারি তরফে সামাজিক বনানিকরণ
কাজ যখন চলছিল, সেখানে নিয়োজিত দিন মজুরদের মধ্যে যাদবও একজন ছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের পর সবাই
যখন যার যার জায়গায় ফিরে গেলো, যাদব কিন্তু ফিরলেন না, থেকে গেলেন, শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণই করলেন না,
নিজের চেষ্টায় এলাকাটিকে একটা অভয়ারণ্যের রূপ দিলেন।
যাদবের অরণ্য, যেটাকে স্থানীয়
লোকেরা ‘মোলাই-হাভি’ (হাভি, অর্থাৎ অরণ্য) বলে চিনে, সে জায়গাটা আজকের দিনে অনেক বিপন্ন
বন্যপ্রাণীর আশ্রয়স্থল। বাঘ, গণ্ডার, শতাধিক হরিণ, খরগোশ, বিভিন্ন পশুপক্ষী এবং অনেক বিরল জাতের গাছ
সেখানে রয়েছে। প্রায় শতাধিক হাতি প্রতিবছর ওই এলাকাতে আসে, এবং
ছয় মাস থেকে বিশ্রাম করে। শাবক প্রসবের জন্যও হাতিদের এই‘মোলাই-
অরণ্য বিরাট পছন্দের জায়গা।
নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করতে গিয়ে পদ্মশ্রী
যাদব বলেন, জিতু কলিতা আমার উপর এক খানা তথ্যচিত্র খানা প্রথমবারের জন্য নির্মাণ
করেছিলেন। তারপর DY365 এসেছিল, তারপর টাইমস অব ইণ্ডিয়া এসেছিল। আমার এই কর্মকাণ্ড তখনই
স্বীকৃতি পেয়েছিল, যখন জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একদল বিজ্ঞানী পাঁচদিন / পাঁচরাত্রি আমার জঙ্গলে এসে অধ্যয়ন করেছিলেন, এবং তারপর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সুধীর কুমার সোপরি
প্রথম বারের জন্য আমাকে ‘ফরেস্ট মেন’- এর সম্মান দিয়েছিলেন।
তার পর-পরই রাজ্যের তৎকালীন
মুখ্যমন্ত্রী শ্রী তরুণ গগৈ আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়
তোমাকে সম্বর্ধনা দিয়েছে, এর জন্য আমি গর্বিত। আমি হাউ-হাউ করে কেঁদে দিয়েছিলাম। আমার চোখে জল গড়িয়ে এসেছিল। যেহেতু অনেক দুঃখ কষ্ট করে বনানীকরণের
এই সবুজ সংগ্রাম আমি একা একাই চালিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন তো কারও সাহায্য সহানুভূতি
পাইনি! আসামে ৩-৪ টা বিশ্ববিদ্যালয় আছে, টোকলাই চা গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে, রিসার্চ ল্যাবরেটরি রয়েছে, কাছেই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, কিন্তু, এতগুলো প্রতিষ্ঠান থাকা সত্বেও আমার নিজের খেতের শুকনা
মাটির ধরন-ধারণ অধ্যয়ন করে গাছগাছালি রূপণ
করার জন্য কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায় নি! তাই প্রথম বারের মত আমাকে “ফরেস্ট মেন” সম্মান জানানোতে আমার চোখে জল এসেছিল। সেখানে থাকা বিজ্ঞানীরা, গবেষক ছাত্র- ছাত্রীরা জিগ্যেস
করেছিলেন, কেন কাঁদছি? বললাম, আমার ছেলে মেয়েরা তো ছোট ছোট। তাদের কথা মনে পড়েছে। তাই চোখে জল এলো। আসাম তো আমার নিজের জন্মভূমি। বাইরের লোকদের সামনে নিজের জন্মভূমিতে
তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য প্রাপ্তির ব্যাপারটা
মুখ খুলে বলাটা অনুচিত। তাই
বলিনি। ছেলেমেয়েদের কথা বলে
প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছি।
তারপর আবার ডাক এসেছিল। হীরার ফলক উপহার এবং আড়াই লক্ষ
টাকার চেক প্রদান করার সময়, তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবুল কালাম স্যার আমার মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন, বিশ্ববাসীর তরফ থেকে এই উপহার তোমাকে দেওয়া হল।
সেখানে থাকতেই আমার অভয়ারণ্যের
একটা গণ্ডার নিধন হল। ২০১২
সালের ১লা আগস্ট। ফরেস্ট
বিভাগকে ফোন করে বলেছিলাম, আপনারা কিছু করুন। আমার কথা ওদের বিশ্বাস হয় নি। আমাকে বলল, আমি মিথ্যা বলছি। বললাম, মিথ্যা, না সত্যি, সেটা কাল প্রমাণ হবে। আগামীকাল সকালে আসুন। পরদিন ফিরে জঙ্গলে গিয়ে
দেখালাম, মৃত গণ্ডার। শিং নেই, কান নেই,
দাঁত নেই, নখ নেই, চোরা-শিকারিরা লেজটাও কেটে নিয়ে গেছে। সে এক নির্মম হত্যাকাণ্ড! যাই
হোক, এই মৃত গণ্ডারকে খওয়ার জন্য আমার অভয়ারণ্যে চল্লিশ বছর পর ষাট-টা শকুন
এসেছিলো। কেন জানি, তা দেখে আমার মনে হয়েছিল, এই অরণ্য আমাকে অনেকদূর নিয়ে যাবে...
পরদিনই প্যারিস যাওয়ার নিমন্ত্রণ
পেলাম। সেখানে ১৫০টা দেশের বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন করা বিজ্ঞানীরা আমাকে গাছ লাগানোর
জন্য আমন্ত্রণ করেছিলেন। সবার মুখে একটাই কথা। গাছ ছাড়া আমরা কেউই বাঁচতে পারব না।
প্যারিসে সেদিন ঝির-ঝির বৃষ্টি পড়ছিল। গাছ লাগাতে লাগাতে ভিজে গেছিলাম। তিন বছর পর ২০১৫ সালে
যখন আবার প্যারিস গেলাম, দেখলাম, গাছগুলো পনেরো ফুট উঁচু হয়ে
গেছে। আমার নীতি সংস্কার-মুখী।
তাই, ওই গাছগুলি দেখে বেজায় আনন্দ লাগলো।
ভারত সরকার বন নিয়ে আমার
এই কাজের জন্য সম্মানটা দেব দেব বলেও দেয় নাই, রাজ্য সরকার আমাকে কাগজপত্র অনেকবার
চাওয়া সত্বেও দেয় নাই। কিন্তু কানাডা তে বানানো আমার উপর ওই ডকুমেন্টারি একবার-দুবার নয়, পর পর চার বার দেখান হল,
তখন গৃহ-দপ্তর থেকে পর পর তিনবার লোক
এসে আমাকে ডকুমেন্ট দিল। বলা যায়, তাদের সম্বিৎ ফিরল। ৮
এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালো। নির্দিষ্ট দিনের তিনদিন আগে
আমাকে ফোন করে জিগ্যেস করে, “আপ সম্মান লেয়গা কি নেহি ল্যায়গা?” আমি
বললাম, গাছ-পালা-মাটি-ই থাকছে না, আমি
সম্মান নিয়ে কি করব?
মহারাষ্ট্রে একটা সভায়
আমাকে জিগ্যেস করেছিলো, আপনাকে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকার কী কী সুবিধা দিচ্ছে? বললাম, দেশ আমাকে কি দিচ্ছে, তা
দেখার প্রয়োজন নেই, আমি দেশের জন্য যা করার প্রয়োজন অনুভব করেছি, তাই করছি, এই যা।
এই সেদিনও একটা সভায় বলেছি,
আপনাদের এই শিক্ষায় দেশের উন্নতিসাধন হবে না। যেহেতু ইদানীং আমি ভারতের এবং
দেশের বাইরেও বিভিন্ন প্রান্তের স্কুল-কলেজে গিয়ে দেখেছি, যে জহরলাল নেহরুর
দিন থেকেই এদেশে বন- মহোৎসব পালন করা হচ্ছে। লাখ লাখ কোটী কোটী টাকা খরচ হচ্ছে।
কিন্তু গাছ একটাও নেই। বিভিন্ন জায়গায় ঘটা করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন হয় যদিও,
কিন্তু, গাছ একটাও বড় হচ্ছে না। যদি ১৯৭২ সাল
থেকে রোপণ করা গাছগুলো আজ টিকে থাকতো, তোলে ফেলা না হতো,
তাহলে অন্তত আজ এদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর হাত থেকে রক্ষা পেতো। ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা কি সত্যি
এ রকম? যে ছোট ছোট শিশুরা চারা রোপণ করবে, আর
প্রাপ্তবয়স্করা তা কেটে ফেলবে?
১৯৭২ সালের ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ
দিবসে সুইডেনের স্টকহোমে বিশ্বের ১৩টি দেশ একসাথে ঘোষণা করেছিল যে, ক্লাইমেট চেঞ্জ হচ্ছে। ভারতবর্ষে এই পরিবেশ বিষয়টি সাধারণ
পাঠ্যক্রমে ১৯৭৩ সালে অন্তর্ভুক্ত হয় যদিও, কিন্তু, তার প্রকৃত
বাস্তবায়ন হয় নি। আমাদের এই রাজ্যেই ৩৬৫ টা স্কুলে পরিবেশ বিষয়টি নিয়ে পাঠদান বাধ্যতামূলক।
কিন্তু এই আসাম বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রের আর, টি, আই-র উত্তরে জানা
গেলো যে একটা স্কুল-কলেজেও পরিবেশ বিষয় পড়ানোর জন্য শিক্ষক নিযুক্তি দেওয়া হয় নি!
একটা স্কুলেও পরিবেশ শিক্ষক নেই! এ কেমন কথা?
মাস কয়েক আগে কেন্দ্রীয়
পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভেরকর মহাশয় আমাকে একটা সভায় ডেকেছিলেন। উনাকে বলেছি, এই শিক্ষা দিয়ে
দেশের উন্নতিসাধন হবে না। শিক্ষার সাথে সাথে চারা-রোপণ বাধ্যতামূলক করুন, দেশের উন্নতি তখনই হবে। সমস্ত বিষয়গুলো অবলোকন করলে মনে অনেক ব্যথা পাই...
সেই প্রাচীন কাল থেকেই বলতে গেলে, এই ভারতবর্ষ শিক্ষা ও জ্ঞানের বিকাশ কেন্দ্র। সে রকম একটা দেশের আজ এই কি অবস্থা? পৃথিবীর
যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, গাছ লাগাতেই হবে। গাছ ছাড়া
পৃথিবীতে বাস করা অসম্ভব। এই গোটা বিষয়টা ভারত সরকারকে বলেছি। সম্পূর্ণ বিষয়টাই
পালটাতে হবে। ভারতবর্ষের সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এই সংবিধান দিয়ে দেশের উন্নতি
হবে না। পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়টা প্রাথমিক স্কুল থেকে পাঠ্যক্রমে ঢোকাতে হবে। পরিবেশ
শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। পরিবেশ বিশ্ববিদ্যালয় বানাতে হবে। তখনই ‘ইকো-সিস্টেম’ সত্যিকার অর্থে বজায় থাকবে। আর ফরেস্ট
বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আওতায় আনতে হবে। পলিটিকাল গ্রান্ট-এর অধীনে থাকা
ঠিক নয়। এ দেশের ছেলে মেয়েরা বুদ্ধি ও মেধার দিক দিয়ে বন্দুকের গুলি থেকেও অনেক
অনেক তীক্ষ্ণ । এদেরকে সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হোক। পুলিশ বা মিলিটারি লাগবে না।
আশা করছি, ভারত
সরকার এ নিয়ে ভাববে। এই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে জার্মানি। সেখানে প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক পরিবেশ শিক্ষা চালু রয়েছে। পরিবেশ বিশ্ববিদ্যালয়ও সেখানে
রয়েছে। শুধুমাত্র একটা দেশ করলে তো হবে না। আমাদের দেশেও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সে
রকমটা চালু করতে হবে।
জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, দ্রুত নগরায়ণ, শিল্পায়ন, অস্বাস্থ্যকর
পরিবেশ... প্রকৃতি এসব বিভিন্ন রূপে বার বার সতর্কবাণী দিচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববাসী তা জেনেও জানে না...
দেখেও দেখে না...! সুতরাং ক্লাইমেট চেঞ্জ হচ্ছে। আমাদের দেশে বুদ্ধ ‘বোধি-জ্ঞান’
লাভ করেছিলেন, তাও সেই গাছের নিচেই বসে। সেই
জ্ঞান সম্রাট অশোক সর্বত্র প্রচার করেছিলেন। আমাদের দেশে তা প্রয়োগ হয় নি। সেই ধ্যান-ধারনাটা চীন নিয়ে গেছে। ওখানে চার-লেন/ ছয়-লেন যাই বানানো হোক না কেন, গাছ কাটে না।
ওপর দিয়ে রাস্তা বানানো হয়। যিশুখ্রিস্ট-কে ক্রুশ বিদ্ধ করেছিল যারা, ভেবে দেখুন,
আমরা কি তাদের মতই কাজ করছি না? এত এত পড়াশুনা
করেও গাছে পেরেক গাড়ছি; একবার নিজের দেহে পেরেক পুতে দেখুন তো...!
অনেকে বলেন, আসামে গাছ
লাগানোর জন্য পর্যাপ্ত মাটি নেই! বললেই হল? মহাবাহু ব্রহ্মপুত্র এবং বরাকের দুই পারে চার ভাগের তিন ভাগই পতিত জমি। সেই জমিকে
আমাদের সবুজ করতে হবে। জনসংখ্যার অনুপাতে দিন দিন গ্রামগুলো শহর হয়ে যাচ্ছে। শহর
হয়ে গেলে আমরা অক্সিজেন পাব কোথায়? এখনই যা অভাব হচ্ছে...
সেই যে এ পি জে স্যর আমার মাথায়
হাত রেখে বলেছিলেন, এবং আমি অঙ্গীকার করেছিলাম সেই কথাটাই
জীবন ভর পালন করব। তিনিই আমার আদর্শ,
তিনিই আমার অনুপ্রেরণা। এরকম একজন মহান মানুষ পৃথিবীতে সচরাচর
সৃষ্টি হয় না। উনার মৃত্যুর দিন-টিতে আমি ভাত খাই নি, খেতে
পারি নি... এই সেদিন নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছিলাম, উনার
নামে শ্বেত চন্দন (আর ভূপেন-দার নামে রক্তচন্দন) গাছ লাগিয়ে এসেছি।
২০২০ সাল থেকে ২০৩০সাল পর্যন্ত
বিশ্বের জনসংখ্যা প্রচুর বাড়বে। নিজেরাই অনুমান করুন,
ক্লাইমেট চেঞ্জ তখন কি আকার ধারণ করবে! আমাদের যে সমস্ত গাছ-গাছালি রয়েছে, তাদের সংরক্ষণ করে রাখতেই হবে। ভয়ানক বিপদ আসছে! সেই বিপদের আগাম ইঙ্গিতও
পাওয়া যাচ্ছে। আজকাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকজনদের সাথে মেলা মেশার সুযোগ পাচ্ছি।
এবং, সেই সুবাদে বলতে পারি, বিশ্বের
৭০০ কোটী মানুষ ‘আস্ত’এক একটা বই ছাড়া আর কিছু নয়। সবাই জ্ঞানী। এই জ্ঞান কোন প্রকৃত উপকারে
আসছে না! শিক্ষা ও জ্ঞান নিতে হলে পশুপক্ষীর কাছ নিতে
হবে, আর শান্তিতে থাকতে হলে, গাছের
কাছে যেতে হবে। এছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। যে যাই বলুক না কেন, একটা কথা হলফ করে বলি, গোটা দেশ তথা বিশ্ব জুড়ে
জীবনভর আমার এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন