“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭

আমাদের কবিতারা

 ।।  অভিজিৎ চক্রবর্তী।।
(C)Image:ছবি

হুরে কবিতাগুলিরই এখন রমরমা অনেকটা পশ্চিমী ধাঁচে পাছা নাড়িয়ে নাড়িয়ে যায়। আমাদের বোকা বোকা গাইয়াঁ কবিতারা হা করে চেয়ে থাকে। তাদের চটক ধার চলা-ফেরার ঢঙ দেখে আমাদের কবিতাদের মুখে রা আসে না। মনমরা কবিতাদের চাঙ্গা করতে আমরা ক্লাসিক কপচাই। গত শতাব্দীর রোমান্টিসিজমের ছায়া দেখাই। আমাদের কবিতারা তাদের অর্গাজম দেখে অবাক হয়। যখন তখন লালা ঝরে। একদিন শহুরে কবিতার হাওয়া লাগে আমাদের গাইয়াঁ কবিতাটির গায়েও। আমরা আশ্চর্য হয়ে দেখি তার গাছে গাছেও স্তন ঝুলে আছে। সেইসব স্তন থেকে দুধ ঝরে না। পাছার মতই বিশাল তার আকার। আমরা তার উঁচু ঢিবির উপরে উঠে বসি। আর পিটপিট করে তাকাই। ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালিস্ট কবিরা সেখান থেকেই দেখিয়ে দেন ছন্দ প্রকরণ লালা পিত্ত ঘাম আর কাকে বলে মৃতসব কবিদের কৃমি পুঁজ।
            এইসব আবর্জনা ঘাঁটতে ঘাঁটতে একদিন দেখি কী আশ্চর্য আমাদের কবিতার গায়েও আধুনিকতা আসে। পাছা ভারী হয়। আমাদের কবিতারাও পাছা নাড়িয়ে হেঁটে যায় গ্রামের রাস্তা ধরে।আমরা নির্দ্বিধায় বলি এখন এটাই স্টাইল। বাইরে খুব চলে।

কোন মন্তব্য নেই: