“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১০ জুন, ২০১৭

' সাইড', 'সাইড'

।। শিবানী দে।।

(C)Image:ছবি














সাইড’, ‘সাইড’, ‘সাইডে যাও’ --- থেকে থেকে তাড়া ।
তাই দেওয়াল ঘেঁষেই চলা শুধু একধারে ।
মাথার উপরে ছাতা, নিষিদ্ধ আকাশ ।

ওধারেও দেওয়াল ঘেঁষা চলন্ত পুতুল,
দেওয়ালের তফাতে যাওয়া নিষিদ্ধ ওধারেও ।
উপরে আকাশবন্ধ ছাতা ।

লাঠি ছোরা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্যত অথবা গুপ্ত কার
কারা রক্তচক্ষু, দম্ভদৃপ্ত, শক্তমুখ টহলদার,
হাঁক পেড়ে যায়, ‘সাইড’, সাইড

এধারের লোকে ওধারে তাকায়, অপরিচয়ের চোখে,
রোজকার দেখা তবুও অজানা ওধারের একান্ত দেওয়াল।
ঘেঁষে চলা লোক একই ধরণের, ওদেরো তরঙ্গহীন চোখ ।

তাকানো নিষেধ’, ‘তাকানো নিষেধ’, হাঁকে কারা ?
হাত বাড়ানো নিষেধ’, ‘পা বাড়ানো নিষেধ’, হাঁকে কারা ?
হাতে লাঠি, উদ্যত বন্দুক, গুপ্ত ছোরা, ওরা কারা !

এদিকের বালকের জিজ্ঞাসা , কী আছে ওধারে ?’
ওদিকের বালিকার কৌতূহলী চোখ দেখা যায় ।
অভিভাবকের সতর্কতা---- নিষেধ’, ‘নিষেধ

প্রহরীরা হেঁকে যায়, ‘সা-ই-ড’, ‘সা-ই-ড’ !



কোন মন্তব্য নেই: