“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৭

এপ্রিলফুল

।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন।।

(C)Image:ছবি






















মেইলবক্স খুলে দেখতে চাইছি কে আজ বোকা বানাল এদিনে
তেমন কোনো হাস্যকর প্রয়াসের কোনো ছাপ নেই
কেবল পাতার পর পাতা জুড়ে কানার মাতম
অশ্রুসিক্ত ইমোজি সব উঠে আসছে ওস্তাদজির সানাই হয়ে
আর টাইমলাইনের পাতা জুড়ে ঘন ঘন ট্যাগ
ভয়ংকর উল্লাসে ফেটে পড়া সব হিংসাময় সব বসন্তকথা
আমার চারপাশের বাতাস ভারি হয়ে আছে
পঞ্চাশ হাজার মুখের করুণ বৃত্ত প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দুলছে
এ ভূখণ্ড সীমিত হওয়ায় কেউই অপরিচিত নয়,
সবারই হাল হকিকৎ জানা ৷ উনিশ বিশ সবাই সমান বিত্তবান ৷
আমার জনপদে এখন মন্বন্তরের নীরবতা নেমেছে
আশাহত কুপিবাতি হাওয়ায় কাঁপছে, কখন বুঝি নিভে যায় ৷
এই অন্ধকারেই দেখি একদল মর্ষমান শরীর ডঙ্কা বাজিয়ে মশালনাচে নেমেছে ৷
কী তীব্র তাদের হল্লাবোল! 
ক্রমশ পাথর হয়ে খসে  পড়ে যাচ্ছে অজস্র কান্নামুখ
আর উল্লসিত হিংস্র অবয়বগুলো শ্বাপদ হয়ে বেরিয়ে পড়ছে ৷
প্রতিবেশী বলে আর কেউ নেই মানুষের শরীর নিয়ে
লক্ষ্মণরেখার দুইপাশে অসহিষ্ণু খাদক এবং অসহায় খাদ্য
আজ বসন্তপুষ্পের দিনে এভাবেই সাজানো আমার প্রোফাইল ৷

কোন মন্তব্য নেই: