(C)Image:ছবি |
।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন।।
স্কুলপাঠ্য
বইয়ে সন্ধিবিচ্ছেদ
অধ্যায়ে 'গো' বিষয়ক
দুটো শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ করতে প্রায়ই ভুল করতাম ৷ গো + অক্ষ =
গবাক্ষ এবং গো + এষণা = গবেষণা ৷
গবাক্ষ
মানে জানলা ৷ গবেষণা মানে কোনো বিষয়ে নিবিড় অনুসন্ধান
৷ অর্থ যাই দাঁড়াক আমার সমস্যা ছিল সন্ধি বিচ্ছেদ নিয়ে ৷ তবে এই অর্থসূত্র
ধরেই বাবা আমাকে এই দুটো শব্দের ব্যাপারে আমার সন্ধিবাতের বেদনার
উপশমের উপায় বাৎলে দিয়েছিলেন ৷ গবাক্ষ শব্দের উৎস 'গো' 'অক্ষ' মানে গোরুর চোখ
থেকে ৷
আর 'গো' 'এষণা' অর্থাৎ
গবেষণাকর্ম এতোই কষ্টকর যেটা ঠাডা দুপুরে গোরু খোঁজার মতো কষ্টকর ৷ প্রসঙ্গক্রমে একটা
গল্পও শুনিয়েছিলেন ৷ গল্পটা এরকম - এক গৃহস্থ তার দুধেল গাভিটি হারিয়ে
ভাদ্রমাসের রোদের মধ্যে বনবাদাড়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ক্লান্ত শরীরে বাড়ি
ফিরে এলেন ৷ দাওয়ায় বসে কাতরস্বরে বউকে ফরমায়েশ দিলেন, এক ঘটি
খাওয়ার জল দাও না গো, মা! রান্নাঘর থেকে গিন্নি গজগজিয়ে উঠলেন - মিনসের কী মাথাটাথা
খারাপ হইছে নি কী? কর্তা উত্তর দিলেন, ভাদোমাইয়া দুফরে গোরু হারাইলে কথার আগামাথা থাকে না
রে বইন ৷ বলাবাহুল্য এর পরে আমার আর এ দুটো
শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদে ভুল হয় নি ৷
গোরুর
আধার প্রযুক্ত হওয়ার প্রস্তাবে মনে হচ্ছে সন্ধিবিচ্ছেদের অধ্যায়ে আর একটা
শব্দ যুক্ত হতে চলেছে ৷ শব্দটি হবে 'গো' + আধার = গবাধার ৷ গোরুর আধারকার্ডের
এই নামকরণ যদি হয় না জানি কী পেরেসানিতেই পড়বে নতুন প্রজন্মের পড়ুয়ারা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন