“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭

শুভ নববর্ষ – ও কলকাতা

( মোবাইলে অ্যাপটি কিরকম দেখাবে)
(লিখেছেন অভ্র পাল। আন্তর্জালে বাংলার প্রচার প্রসারের আদি যুগের বন্ধু। যার যাত্রা শুরু হয়েছিল 'কফি হাউসের আড্ডা' সম্মিলিত ব্লগ দিয়ে। এখন আছেন 'ও কলকাতা'তে। দরকারি এবং বহুল প্রচার দরকার ভেবে এখানে তুলে দিলাম। ---ঈশান এডমিন )

            জ থেকে প্রায় বছর পাঁচেক আগে আমরা ‘ও কলকাতা’ শুরু করেছিলাম পয়লা বৈশাখের দিন। খুবই সাধারণ, আড়ম্বরহীন একটা পোস্ট – এসে গেল ‘ও কলকাতা’র সাইট এবং সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যতটুকু নিজেদের বলা যায়। কয়েক বছর কেটে গেছে – অনেক নতুন, পুরনো লেখক ওয়েব সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন তাঁদের রচনাশৈলীতে। আমরাও অনেকরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে – হয়ত সব সময়ে নিয়মিত থাকতে পারিনি, কিন্তু আপোস করিনি আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায়। সময়ের সাথে দেখেছি অন্য কিছু ওয়েব পত্রিকাও অবয়ব বদলেছে।বদলেছি আমরাও। আজ অনেক বেশি মানুষ বাংলায় টাইপ করেন, পড়েন – অস্বীকার করতে অসুবিধে নেই যে ডিজিটাইজেশনের পথে আমরা সবাই হাঁটছি একটু একটু করে। সেই যাত্রাপথে আমাদের নতুন উপস্থাপনা – আমাদের “ওকলকাতা’ মোবাইল অ্যাপ। আপাতত শুধু অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মের জন্য শুরু হলেও আমাদের ইচ্ছা অন্যান্য মোবাইল প্লাটফর্ম বা অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যেও কি করে এই অ্যাপটিকে পৌঁছে দিতে পারি।
         মোবাইল অ্যাপ কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বলি অ্যাপের ব্যাপারটা প্রথম আমার মাথায় ঢুকিয়েছিল অনির্বান – তাও কয়েক বছর আগের কথা (মনে হচ্ছে ২০১৩র শেষ বা ১৪র শুরু)। সোজাসাপ্টা বলল, ‘শুধু ওয়েব সাইট করে হবে না – অ্যাপ বানা’। আমি বললাম – ‘কেন? সাইটটা খারাপ কোথায়?’ তখন ও একটা ছোট্ট যুক্তি দিয়েছিল – ‘তুই মোবাইলে খবর পড়তে হলে ব্রাউজারে এনডিটিভির সাইট খুলিস না মোবাইল অ্যাপে ওপেন করিস?’ আমি একটু আমতা আমতা করেছিলাম যে, ‘ও কলকাতা তো সাহিত্যের পত্রিকা। কতজন পাঠকই বা আর অ্যাপ ব্যবহার করবেন?’ কিন্তু তা নয় – আসলে যে অ্যাপের ব্যাপারটা একদিন খুব জরুরি  হয়ে পড়বে সেটা বুঝেছিলাম। নরেন্দ্রপুরে পড়ার সময় থেকে দেখে এসেছি যে অনির্বান ফাজলামি যতই করুক না কেন, অযৌক্তিক কথা কখনই বলেনি। তারপর থেকে ভেবে আসছি কিভাবে অ্যাপটা বানান যায়?
    
 
(গুগল অ্যান্ড্রয়েড মার্কেট স্ক্রীনশট)
     গত বছর আমি পেশাগত কারনেই মোবাইল বিজনেস ইন্টেলিজেন্স প্লাটফর্ম নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করি, কয়েকটা প্রোটোটাইপও তৈরি হয় আর সেইসবের মাঝখানে আবার নতুন করে ‘ও-কলকাতা’র এই অ্যাপের ব্যাপারটা সামনে আসে। অফিসে চেনা পরিচিত কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে ব্যাপারটা নিয়ে বলতে শুরু করি – বলাই বাহুল্য কিছু কিছু উদ্যোগ তখন ফেলও করে। আসলে আজকের তারিখে অনেকেই মোবাইল অপটিমাইজড  সাইট তৈরি করছেন, সেখানে আস্তে আস্তে নেটিভ অ্যাপও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে এটাই মনে হয়েছিল। আর অফিসের বাইরে (মানে যারা লেখালিখি করেন এই ডিজিটাল বাংলা মাধ্যমে) যাদের কনসেপ্টটা বলার চেষ্টা করেছি, তারা খুব একটা ভালো করে ব্যাপারটা কতটা বুঝেছিলেন, এই নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। যাইহোক, আমার ইচ্ছে ছিল কোন রকম হার্ড কোডিং না – একটা আরএসএস পার্সার তৈরি করা যাতে সেটা অন্যান্য ওয়েবসাইটের জন্যও চলে। মোবাইলে আরএসএস ফিড রিডার অনেক পাওয়া যায় আর সেখানে বাংলা ফন্ট রেন্ডারিংও ঠিক করেই হয় – কিন্তু তাতে তো আর ও কলকাতার নিজস্ব ব্যাপারটা থাকল না, তাই না?
          শেষমেষ ফিড থেকে এই অ্যাপটা আমাকে বানিয়ে দিল আমাদের অফিসের এক উৎসাহী জাভা প্রোগ্রামার প্রসেনজিত। এই নিয়ে আমার একটা সেমিনারে প্রেসেন্টেশন দেওয়ার কথাও ছিল ২০১৬ সালে ডিসেম্বরের শুরুতে, কিন্তু তখন অস্ট্রেলিয়া চলে আসার ব্যস্ততায় সেটা করে উঠতে পারিনি। অফিসের খাটাখাটনি সামলে এই উপহারের পরিবর্তে যে বিরিয়ানি খাওয়ানোর কথা, সেও বাকি থেকে গেছে। লিঙ্কটা এখানেও দিলাম, সাইটেও দেওয়া রয়েছে। অবশ্য গুগল অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটে Okolkata লিখে সার্চ করলেও অ্যাপটিকে খুঁজে পাওয়া যাবে, শুধু একটু স্ক্রল করতে হবে।আপনাদের সুবিধার্থে অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটের একটি স্ক্রীনশট এবং অ্যাপটি  কিরকম দেখতে লাগবে তার ছবিও রইল।



 "ও কলকাতা' ব্লগে এখানেও লেখাটি পড়া যাবে।

শুভ নববর্ষ – ও কলকাতা

কোন মন্তব্য নেই: