“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭

সিগারেট

।। সুরজিৎ মন্ডল।।
 
(C)Image:ছবি

















তোমার সিগারেটে দেওয়া সুখটান,
কেড়েছে আমার বুকের সুখ।
তোমার সিগারেটের জ্বলন্ত আঙার,
তোমার চিতাস্বরূপ।
সিগারেট ও তুমি হবে নিঃশেষ,
তোমায় দেবে উপহার
খুব দামী কিছু রোগ; কাফ, স্টোমা, আলসার বা ক্যানসার।
তুমি ও সিগারেট দুজনেই পুড়ছ,
শেষ করেছ একে অপরকে।
এতো আপন করছ কেন?
সর্বনাশী ঝড়কে।
তোমার কোমল ঠোঁটের স্পর্শের জন্য
আমি দিতে পারতাম প্রাণ,
কিন্তু ওই ঠোঁটেই প্রতিনিয়ত
দিচ্ছ তুমি মৃত্যুকে স্থান।
কেন, আমার প্রতি এত বেশি
নিষ্ঠুর তমি? কেন অনির্বাণ?
যে বুকে আশ্রয় দাও নি আমায়,
সেই বুকে রোজ কিছু ধুঁয়া
 কী  করে স্থান পায়?
অনির্বাণ যে সিগারেটে মত্ত হয়ে
আমায় ভুলতে চাও!
সেই সিগারেটটুকুতে কী শান্তি তুমি পাও?
আমাকে ভোলার জন্য সিগারেট
যেদিন তুললে মুখে, সেদিন
মৃত্যুকে আমন্ত্রণ দিলে বুকে।
তোমার আর সিগারেটের ধোঁয়ার
তুমি যে করেছ,
এক কৃত্রিম ভালোবাসার সৃষ্টি,
এই ভালোবাসা  "কাল তোমার',
প্রিয়জনের চোখে নামাবে বৃষ্টি।
সকাল, দুপুর, রাতে বাড়াচ্ছো সুখ,
কেন এত সুখী হোতে চাও?
তোমার ধ্বংস, আমার ধ্বংস।
অনির্বাণ সিগারেট ছেড়ে দাও।
          

কোন মন্তব্য নেই: