প্রয়াত কৃষ্ণা চৌধুরী (চক্রবর্তী) |
কৃষ্ণা
চৌধুরী শুধু পুণ্যপ্রিয়দার জীবন সঙ্গিনী
ছিলেন না। আমাদের ছাত্রাবস্থাতে
মুক্তনারীর প্রতীক ছিলেন। পুণ্যপ্রিয়দাই কি শুধু শিলচর সানগ্রাফিস্ক নামের বিখ্যাত ছাপাখানার
মালিক মাত্র, যেখানে বিদগ্ধরা বই পত্রিকা ছাপান?
আমাদের স্কুলজীবনে যারা বিকল্প
ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন,
কৈশোর তারুণ্যের দিশা দেখিয়েছিলেন তাঁরা
সেকালের সেই সব দামাল যৌবনের প্রতিভূ ছিলেন। দেয়াল ভাঙ্গা, জলে কাদায় ঘেরা স্কুলে , দরিদ্র পরিবার থেকে পড়তে যাওয়া আমার মতো অনেকে
যখন
ঘরে-বাইরে-পাড়ায় শহরে নিজেকে প্রত্যাখ্যাত অপর বলে ভাবত--- তখন এরা সেই সব প্রত্যাখ্যাতদের অধিকারের আর মর্যাদার গল্প শোনাত আমাদের
স্কুলে স্কুলে গিয়ে। এরা প্রথম জীবনে এস এফ আই করেছেন,
পরে
ডি য়াই এফ করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের
সংগঠনে শেষমেশ যোগ দিই নি। আমার পথ হয়েছিল অন্য। সে প্রসঙ্গও অন্য।
কিন্তু পথটাই ধরা হত না যদি পুণ্যপ্রিয়দা, শুভপ্রসাদা, সনৎ কৈরি, অরূপ চৌধুরীদের
বক্তৃতা শোনার অভিজ্ঞতা না হত। হ্যাঁ, পুণ্যপ্রিয়দার বক্তৃতাতে একসময় শহর
শিলচর কাঁপত। একালের তরুণদের সেসব জানবার কথা নয়। তাঁর থেকে ভাল বক্তৃতা কেউ
করতে পারত না। পরে যৌথ আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁকে দেখে শোনে আমি কিছু কিছু
বক্তৃতা করা শিখেছিলাম। বলতে পারি। বক্তৃতা করা এক কথা। আর লোক দাঁড়
করিয়ে রেখে দেয়া আর কথা। পুণ্যপ্রিয়দা তাই পারত। তার উপরে পুণ্যপ্রিয়দা ছিল
একজন দক্ষ সংগঠক।
সপুত্র কৃষ্ণা চৌধুরী (চক্রবর্তী) |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন