“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭

আমার গাঁও

            
।।    রফিক উদ্দিন লস্কর ।।
(C)Image:ছবি


















মার গাঁয়ে প্রভাত কালে শুনি পাখির গান,
মন্দিরেতে ঘণ্টা বাজে মসজিদে হয় আজান।
সন্ধে বেলা ক্লান্ত পাখি,পথিক ফিরে বাসায়,
দিবান্তে আলোক লুকায় আঁধার নামে গাঁয়।
আমার গাঁয়ে সকাল বেলা পাঠশালে হয় পাঠ,
শিশুরা সব পাঠশালে যায় ছেড়ে খেলার মাঠ।
আমার গাঁয়ের কৃষক ছুটে লাঙল নিয়ে মাঠে,
বিকেলবেলা ফিরে আসে অনেক খাটুনি খাটে।
আমার গাঁয়ে রোজ প্রভাতে আম কাঁঠালের বনে,
কিচিরমিচির পাখি ডাকে পুলক জাগায় মনে।
গাঁয়ের বাবু সাইকেল চড়ে অফিস করতে যায়,
মাস্টার মশাই পায়ে হেঁটে চলেন পাঠশালায়।
মাটির সাথে লড়াই করে আমার গাঁয়ের কিষাণ,
ফসল ফলায়, গোলায় রাখে বাঁচাতে তার প্রাণ।
ধর্মে কর্মে বড়ই মহান আমার গাঁয়ের লোক,
সম্প্রীতি আর একতাতে রয়েছে অনেক সুখ।
ঈদ পরবে পূজোর সময় সবার অংশ সমান,
নেই ভেদাভেদ নেই হিংসে এটাই তার প্রমাণ।

০৯/০৪/২০১৭
নিতাইনগর,হাইলাকান্দি(আসাম)

কোন মন্তব্য নেই: