।। শিবানি দে ।।
লাচুং, তোমার চারপাশে ঘেরা বরফচুড়োরা
যখন ভোরবেলা কুয়াশার ঘোমটা সরিয়ে প্রথম সূর্যের আলো মাখছিল,
তাদের মাথা থেকে ঠিকরে পড়ছিল গলানো সোনা,
(সোনা যে এতো উজ্জ্বল হয় সেই প্রথম দেখলাম)
তাদের দেখে মনে হচ্ছিল বুঝি কোনো দেবালয়,
কোনো মন্দির, মসজিদ, গির্জা কিংবা গুরদোয়ারা,
এক্ষুনি বেজে উঠবে ঘণ্টার ধ্বনি কিংবা প্রার্থনার সুর----
জানি, এ আমার মানুষ-অভ্যাসের ভুল ।
কোনো বৃহতের সান্নিধ্যে এলে মানুষের ঈশ্বরের কথা মনে হয়
ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাতে সে তৈরি করে উপাসনালয়
পর্বতের আদলে, সোনার চুড়ো বানিয়ে, পলকা পতাকা উড়িয়ে,
তারপর সেই ঘরের উচ্চতা নিয়ে খেয়োখেয়ি করে,
কারণ আদর্শের বিশালতা বা সৌন্দর্য সৃষ্টির ক্ষমতা তার নেই,
সামান্য যা পারে তা নিয়ে তার বড়াই, আর গর্ব চূর্ণ
হবার ভয়।
তাই তার প্রার্থনা উচ্চগ্রামে, তার উপাস্যের
শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে লড়াই।
লাচুং, তোমার পর্বতচুড়োর নিচে বসে আজ এসব কথাই মনে হল ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন