“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭

ফুটপাতের পাগলি

            ।। রফিক উদ্দিন লস্কর।।


(C)Imageঃছবি














কাশপানে চেয়ে দেখো  উড়ছে কালো মেঘ,
সে মাটির সাথে মিলবে এবার সবই করে ত্যাগ।
আকাশেরই ভাব দেখে ফিরছে ভয়ে সবাই ঘরে,
ঝড় বাতাসে বাজি রেখে পাখিরাও নীড়ে ফিরে।
ঝমঝমিয়ে আকাশ থেকে নামে শিলাবৃষ্টি ধারা,
হাটের পাগলিটা রইছে দেখি ফুটপাতেতে খাড়া।
গায়ে মোড়া ছিন্ন চাদর জলে ভিজে একাকার,
নিকষ রাতে বিদ্যুৎ চমকায় আশ্রয় নেই তার।
গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলে হোটেলের পাশে,
পেটের খিদা হয়েছে প্রবল কিছু খাবার আশে।
গুড় গুড় আকাশ,চারিদিকে শুধু জল আর জল,
খাবারের তাগিদে বেরিয়ে পড়েছে শিয়ালের দল।
পুলিশের গাড়ি টহল দিচ্ছে জলমগ্ন রাজপথে,
চোরের দল বেরিয়ে পড়ে হয়তো বা মাঝরাতে।
পেটের খিদায় আর ঠান্ডায় পাগলিটা কাতরায়,
আধারের সাথে বলছে কথা হাতের ইশারায়।
নাক ডাকিয়ে শয়ন করে  বাবুরা সোনার খাটে,
চাষির মনে মহানন্দ এবার ফসল ফলবে মাঠে।
শুধু পাগলিটার নেই মনে কোন আশার সঞ্চার,
রোদে মেঘে ফুটপাতে সে বোবা কিংবা চিৎকার।
সে কারো মা,কারো বোন, কারো বিবি নিশ্চয়,
ফুটপাতে দিনরাত, কেউ খুঁজেনি তার পরিচয়।

কোন মন্তব্য নেই: