“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৭

খরাবিষয়ক

।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন।।
(C)Image:ছবি

স্তকমুন্ডনের পর বেলতলাবিষয়ক সাবধানতা জানা থাকলে সেদিকে আর কেউ যাবে না । কিন্তু ন্যাড়া পাহাড়ের প্রতি টান কখনো কমে না । সেটা পর্যটন না কি  বাণিজ্যিক সে বিষয়ে সংশয় দীর্ঘদিনের । সমস্ত আদিম ফসল গুলোর পঞ্চত্বপ্রদানের পর বহুজাতিক চাষবাস রমরমিয়ে বেড়ে ওঠে । টিলা পাহাড় নতুন প্রজন্ম বুকে ধরে । ওদের সঙ্গে তেমন ভাব হয়ে ওঠে না । ওরা শুধু বিশাল আকাশটাকে চেনে । আর চেনে বিশ্ববাজার । তারা প্রসাধানপটু । সেজে ওঠে বড়োদের জন্যে । দরদামের জন্যে নিজেরদের তৈরি করে নেয় । ন্যাড়া পাহাড়ের ঘরোয়া উঠোন তাদের পরিচিত  নয় । দুনিয়াপল্লীর নাগরিক তারা ।
পাহাড় শুধু বয়স বাড়িয়ে নিতে থাকে । তার সন্তানের নাড়ির টান ভুলে আকাশের দিকে মুখ করে থাকে শিলাবৃষ্টির অপেক্ষায় । বৃষ্টিপতনেই তার চোখ জলে ভোরে ওঠে । আর হৃদয় শুকোতে থাকে খরায় ।

কোন মন্তব্য নেই: