“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬

দেবী




















।।   চিরশ্রী দেবনাথ  ।।

দেবীর শরীরে এখন বসনের স্বচ্ছতা  
শয্যা ছেড়ে হাটতে থাকেন তিনি 
শয্যায় পরে থাকে কাশবন, জ্যোৎস্না বিহার
তিনি চৌকাঠের বাইরে পা দেন 
রূপবদল হয়, রসবদল হয়, ঘনঘোর শরৎ নামে
আত্মখননে মেতে ওঠে দেবীমেয়ে
জঠরে প্রেমের বিন্যাস, প্লীহার মতো ছেয়ে ফেলে
আকণ্ঠ জল পান করে ধুয়ে দেয় অশুচি চাওয়া 
দেবীর পথের পাশে পাশে পরিশ্রমী মেয়ের দল
তারা শস্যের কথা বলে, গরম ভাতের স্বপ্ন দেখে
দেবীর পায়ে তবু কেনো মাছরাঙা লোভ
চোখ নদী পেরিয়ে রাজপথে ...
এরাও দেবীরাতজেগে রোজগার করে
রঙিন  ঠোঁটে ঘুমিয়ে আছে কত শ্রমের আর্দ্রতা 
দেবীর ক্লান্তি নেই, তিনি পায়ে মেখে নেন ঔষধি ফল
বিষাক্ত ফুলের রেণু গর্ভে ঢুকে গেছে তার
আঁচরে কামড়ে দিচ্ছে মাতৃত্বের সুখ
সদ্যজাতা একটি রেশমগুটি রোদধোওয়া মাঠে জেগে
বড়ো হবে সেও একদিন...
 সূর্য গ্রহণ লেগে থাকা জামরুল ফলের মতো 
দেবীর পায়ে পায়ে এখন খেলা করছে যুদ্ধমেয়েরা 
তারা জেহাদি, শঙ্খের মালা পরা অশ্বিনী। 
না দেখা পুরুষের মুখাবরণ,
তাদের জিহ্বার তলায়রেখে গিয়েছে বুলেটের মিশ্র আগুন 
একবার তাকাও দেবীদেখো,
 আরো কত কত আমরা?
শ্বাসাঘাত, বিল্বপত্র,আর কনকাঞ্জলির অপেক্ষায়। 
ছলছল গভীরে কাঁকন পরছে কোন এক দেবীমেয়ে
ভাঙছে অন্য জনা  নিঃশব্দে, আলোয়, স্বেদমধ্যাহ্নে ...

(প্রকাশিত;প্রণাম, গুয়াহাটি )


কোন মন্তব্য নেই: