“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬

দেবদারু

।। দেবলীনা সেনগুপ্ত।। 

     
(C)Imageঃছবি
          


















স্বর্গের সিঁড়ি বড় পিছল,
আমি বরং দেবদারু হব
সহজ বিভঙ্গে
তীব্র আসঙ্গময় পত্রসাজের 
সরল আয়োজনে
সূচিত হবে  উৎসবের রাত
উল্লসিত দিন, সবুজ আনন্দের
গহন বিস্তারে ছায়া-কারুকাজ
ছড়াবে মায়াবী আলো
অরণ্যের গভীর আঁধারে।
উচ্চশাখা , আকাশে ছোঁয়াবে মাথা
সেরে নেবে আন্তরিক কথোপকথন
নিজস্ব ঈশ্বরের সাথে
মৃদুস্বরে , সুবাসিত আলাপনে।
একদিন পারিজাত বনে
কস্তুরি গন্ধে যখন তুমুল প্রলয়
সুমসৃণ দেহকান্ড বেয়ে
বহে যাবে স্নেহরস, অপার  প্রণয়  
আশ্রিত তৃণপাত্রে ভরে দেবে
অনিঃশেষ  প্রেম, আশ্লেষে আবেগে
 শেষ বজ্রপাতের আকাঙ্ক্ষিত রাতে।   

কোন মন্তব্য নেই: